You dont have javascript enabled! Please enable it!

সংবাদ
১১ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৬

(আদালত বার্তা পরিবেশক)

গতকল্য (শনিবার) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব আফসার উদ্দিনের এজলাসে আওয়ামী লীগ নেতা জনাব শেখ মুজিবর রহমানের বিচারের দ্বিতীয় দিবস অতিবাহিত হয়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ যে, ২০শে মার্চ, ১৯৬৬ পল্টন ময়দানে হালে আউটার স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ কর্তৃক আহূত এক জনসভায় জনাব শেখ মুজিবর রহমান বক্তৃতা দেন। সরকারী মতে উক্ত বক্তৃতা আপত্তিকর, জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারক, দেশরক্ষার পক্ষে বিঘ্নজনক হওয়ায় তাঁহার বিরুদ্ধে দেশরক্ষা বিধির ৪৭ ধারাবলে উক্ত মামলা দায়ের করা হয়।
গতকল্য সরকারপক্ষের আরও দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব হাসান আলীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন যে, উক্ত সভায় তিনি ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সরকারী রিপাের্টার সহ তিনি একই টেবিলে উপবিষ্ট ছিলেন। তাহার সম্মুখেই সরকারী রিপাের্ট লিখা হয়, পড়িয়া তাঁহাকে শুনানাে হয় এবং তিনি ঐসব রিপাের্টে দস্তখত করেন। তিনি সরকারপক্ষীয় কৌসুলীর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে, উক্ত সভায় বড়জোর ১৫ হাজার লােকের সমাগত হইয়াছিল।
ইহার পর রমনা থানার সাব-ইন্সপেক্টর জনাব আঃ সামাদ সাক্ষ্য দেন। তিনি বলেন যে, তিনি অনুসন্ধান অফিসার হিসাবে একদিন কাজ করেন এবং উক্ত সভায় কয়েকদিন পরে ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন এবং তিনি জেরার উত্তরে বলেন যে, ঘটনাস্থলে কোন আলামতের নিদর্শন তিনি পান নাই। জনাব হাসান আলীকে জেরা করা হয়।
সরকারপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া এখনাে শেষ হয় নাই। আগামী ১লা অক্টোবর উক্ত মামলার দিন পুনঃধার্য করা হইয়াছে।
সরকারপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটার জনাব সােরাব ও ডি, এস, পি, জনাব এ খালেক। অপরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন জনাব এ, সালাম খান, জনাব জহিরউদ্দিন, জনাব এম, এ, রব, এম, এস, জোহা চৌধুরী এবং আরও কয়েকজন বিশিষ্ট আইনজীবী।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় খণ্ড: ষাটের দশক॥ দ্বিতীয় পর্ব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!