You dont have javascript enabled! Please enable it!

আজাদ
৭ই মে ১৯৬৬

শেখ মুজিবের সিলেট উপস্থিতি
(তারযােগে প্রাপ্ত)

সিলেট, ৬ই মে। – পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান অদ্য সকালে সদলবলে ট্রেনযােগে এখানে আসিয়া পৌছিলে অপেক্ষমাণ জনতা তাঁহাকে বিপুল সম্বৰ্ধনা জ্ঞাপন করে। “ছয়দফা প্রস্তাব জিন্দাবাদ”, “শেখ মুজিবর রহমান জিন্দাবাদ”, “শেখ মুজিবকে হয়রানী করা চলবে না” প্রভৃতি শ্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত হইয়া উঠে। শেখ সাহেবের সহিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব তাজুদ্দীন আহমদ, প্রচার সম্পাদক আবদুল মােমিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী এম, এন, এ, কোষাধ্যক্ষ জনাব নূরুল ইছলাম চৌধুরী প্রমুখ রহিয়াছেন।
ঢাকা হইতে সিলেট গমনের পথে বিভিন্ন রেলওয়ে ষ্টেশনে অপেক্ষমাণ জনতা আওয়ামী লীগ নেতাকে সাদর অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন। রাত্র দুই ঘটিকার সময় ট্রেন আখাউড়ায় পৌছিলে শেখ মুজিবর রহমানকে ষ্টেশনে বিশেষভাবে নির্মিত মঞ্চের উপর দাঁড়াইয়া বক্তৃতা প্রদান করিতে হয়। এই বিরাট জনসমাবেশে তিনি ছয়দফা প্রস্তাবের ব্যাখ্যাদান করেন। তিনি ছয়দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য জনসাধারণকে ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হইতে আহ্বান জানান।
তিনি জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করিয়া বলেন, আমার প্রতি আপনাদের ভালবাসা ও ছয়দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য জনসাধারণকে ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হইতে আহ্বান জানান।
তিনি জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করিয়া বলেন, আমার প্রতি আপনাদের ভালবাসা ও ছয়দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের ত্যাগ স্বীকারের স্পৃহাই আমাকে সাহস যােগাইয়াছে এবং আপনাদের স্বার্থে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করিতেই আমি কুণ্ঠিত হইব না। জনসাধারণ বৃষ্টিতে ভিজিয়া প্রায় আধঘণ্টা যাবৎ শেখ ছাহেবের বক্তৃতা শ্রবণ করেন।
শেখ ছাহেব তাহার বিরুদ্ধে আনীত মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে সিলেট সদর হা হাসির ছালত হাজির হইলে তাঁহকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তাহার মামলা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট খাজা আবদুল হালিমের আদালতে স্থানান্তর করা হয়। আগামী ১৩ই ও ১৪ই জুন এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় খণ্ড: ষাটের দশক॥ দ্বিতীয় পর্ব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!