You dont have javascript enabled! Please enable it! 1965.12.22 | শেখ মুজিবরের সফর- ঝড়ের ৪৮ ঘণ্টা পরও কোন উদ্ধার অভিযান শুরু হয় নাই | সংবাদ - সংগ্রামের নোটবুক

সংবাদ
২২শে ডিসেম্বর ১৯৬৫

শেখ মুজিবরের সফর
ঝড়ের ৪৮ ঘণ্টা পরও কোন উদ্ধার অভিযান শুরু হয় নাই

(নিজস্ব বার্তা পরিবেশক)
গত সােমবার চট্টগ্রামের বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা সফরান্তে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিয়া পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবর রহমান সংবাদপত্রে প্রকাশার্থ এক বিবৃতিতে বলেন যে, বাত্যা ও জলােচ্ছাসে বিস্তীর্ণ এলাকার ক্ষয়-ক্ষতির যে বিবরণ খবরের কাগজে প্রকাশিত হইয়াছে, উহা আদৌ অতিরঞ্জিত নহে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সহিত এখনও স্বাভাবিক যােগাযােগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হওয়ার ফলে ক্ষতির পরিমাণ এখনও সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হইতেছে না।
যাতায়াতের অসুবিধার দরুন সাহায্য প্রেরণের কাজ বিঘ্নিত হইতেছে। স্থানীয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ, রাজনৈতিক ও সমাজকর্মীরা সাধ্যমত রিলিফসামগ্রী সংগ্রহ করিয়াছে। কিন্তু যানবাহনের অভাবে এগুলি যথাস্থানে। পৌছাইতে সক্ষম হইতেছে না।
জনাব মুজিবর রহমান বলেন যে, বাত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোন উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয় নাই। “অনেকেই মৃত্যুর সহিত ৩/৪ দিন ক্রমাগত ডুবিয়া পরিশেষে উদ্ধারকারী দলের সাহায্যের অভাবে শেষরক্ষা করিতে পারেন নাই। সময়মত উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হইলে প্রাণহানির সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব হইত।
জনাব রহমান দুঃখ প্রকাশ করিয়া বলেন যে, কক্সবাজার কর্তৃপক্ষের ব্যবহারের জন্য কোন ওয়ারলেস সেট ছিল না।
১৯৫৯ সাল হইতে বাত্যা ও জলােচ্ছাসের পৌনঃপুনিক আক্রমণ সত্ত্বেও সমুদ্র উপকূলবর্তী লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্দশা লাঘবের কোন কার্যকরী ব্যবস্থা অদ্যাবধি গৃহীত না হওয়ায় জনাব রহমান গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বার্তা বিধ্বস্ত স্থানসমূহকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘােষণা করিয়া অবিলম্বে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু, খয়রাতী সাহায্য, বস্ত্র ও ঔষধপত্রাদি প্রেরণ ও খাজনা-ট্যাক্স আদায় স্থগিত রাখার জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানান।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় খণ্ড: ষাটের দশক॥ দ্বিতীয় পর্ব