You dont have javascript enabled! Please enable it! 1965.06.19 | বাজেট প্রতিক্রিয়ায় শেখ মুজিব | দৈনিক পাকিস্তান - সংগ্রামের নোটবুক

দৈনিক পাকিস্তান
১৯শে জুন ১৯৬৫

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় শেখ মুজিব

(ষ্টাফ রিপাের্টার)
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারী শেখ মুজিবর রহমান গতকল্য শুক্রবার এক বিবৃতিতে ১৯৬৫-৬৬ সালের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক বাজেটের জন্য যথাক্রমে জনাব এম শােয়েব ও ডক্টর এম, এন হুদার সমালােচনা করেন।
তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় বাজেটে যে ২৯ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার নয়া কর ধার্যের সুপারিশ করা হইয়াছে তাহাতে প্রধানতঃ দরিদ্র, মধ্যবিত্ত এবং মাঝারী ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। কেরােসিন তৈলের উপর করের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হইয়াছে। মাঝারী ধরনের কাপড়ের উপর নূতন শুল্ক ধার্য করা হইয়াছে। ফলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন।
শেখ মুজিব বলেন যে, সমগ্র বাজেটে একটি স্থান তিনি খুঁজিয়া পান নাই যেখানে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং বিশেষ করিয়া পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বিন্দুমাত্র সুবিধাদান করা হইয়াছে।
তিনি প্রাদেশিক বাজেটে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার নয়া কর ধার্যেরও বিরােধিতা করিয়া বলেন যে, ইহা প্রকৃত অর্থে ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’ স্বরূপ হইবে।
তিনি আরও বলেন যে, ইদানীং উভয় প্রদেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য বিদুরীত করার কথা বলা একটা ফ্যাশানে পরিণত হইয়াছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় যে, পূর্ব পাকিস্তানকে যে সকল অতিরিক্ত সুযােগ-সুবিধাদানের কথা বলা হইয়াছে তাহা সুষ্ঠুভাবে কার্যকরী করা হইতেছে না।
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানী ব্যবসায়ীরা বর্তমানে দেশের শিল্পায়নের কাজে যথাসাধ্য অংশগ্রহণে আগ্রহী। কিন্তু যখন এই সকল ব্যবসায়ীর ঋণ প্রয়ােজন তখনই আবার ব্যাংক-রেট বৃদ্ধি করিয়া মুদ্রা সরবরাহ ব্যবস্থা সংকুচিত করা হইয়াছে।
সরকার বর্তমান অর্থনৈতিক নীতির জন্য তিনি জনাব শোয়েবকে দায়ী করেন।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ দ্বিতীয় পর্ব