You dont have javascript enabled! Please enable it! 1965.02.18 | শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানী- আসামীপক্ষের কৌসুলীর সওয়াল জবাব সমাপ্ত | দৈনিক ইত্তেফাক - সংগ্রামের নোটবুক

দৈনিক ইত্তেফাক
১৮ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৫

শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানী
আসামীপক্ষের কৌসুলীর সওয়াল জবাব সমাপ্ত

(হাইকোর্ট রিপাের্টার)
গতকল্য (বুধবার) ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি জনাব বাকের ও বিচারপতি জনাব এ, সােবহান চৌধুরী সমবায়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত দেশদ্রোহ মামলা নাকচ অথবা স্থানান্তরের আবেদনের দ্বিতীয় দিবসব্যাপী পূর্ণ শুনানী হয় এবং আবেদনকারীর কৌসুলী মিঃ সবিতা রঞ্জন পাল তাঁহার সওয়াল জবাব সমাপ্ত করেন।
মিঃ পাল পূর্বদিনের যুক্তির পুনরুল্লেখ করিয়া বলেন যে, এই মামলা নাকচযােগ্য কিনা, এ প্রশ্নে আদালত যদি কোন প্রকার অভিমত প্রকাশ করিতে অনিচ্ছুক হন, তবে তিনি মামলা স্থানান্তর করিবার আবেদন করিবেন, কারণ এই মামলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; সুতরাং ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত মুন্সেফী আদালতে এই মামলার বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়।
প্রশাসনিক বিভাগীয় ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে এই মামলার বিচার সমীচীন নয় বলিয়া মিঃ পাল যুক্তি প্রদর্শন করেন। তিনি আরও বলেন যে, পাকিস্তান দণ্ডবিধির শাসনতান্ত্রিক বৈধতার প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রশ্নের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এই বিষয়টি স্পেশাল বেঞ্চে প্রেরণ করিবার জন্য মিঃ পাল আদালতের নিকট আবেদন করেন।
মিঃ পালের সওয়াল জবাব সমাপ্ত হইলে সরকারপক্ষের কৌসুলী ডি, এল, আর জনাব আবদুল হাকিম সওয়াল জবাব শুরু করেন এবং কয়েকটি প্রাথমিক আপত্তি উত্থাপন করেন।
আবেদনকারীর কৌসুলীকে মামলা পরিচালনায় সাহায্য করেন মিঃ বি, বি, রায় চৌধুরী এবং মিঃ সুধাংশু শেখর হালদার।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনায় ডি, এল, আর জনাব আবদুল হাকিমকে সাহায্য করেন জনাব মাসুদ।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ দ্বিতীয় পর্ব