You dont have javascript enabled! Please enable it!

আজাদ
৭ই নভেম্বর ১৯৬৪

নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি
বাক-চাতুরী মাত্র
সরকারের ভ্রান্ত নীতি সম্পর্কে নেতৃবৃন্দের বিবৃতি

ঢাকা, ৬ই নবেম্বর। দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট যে প্রতিশ্রুতি দান করেন, নিৰ্বাচন প্রাক্কালে বিরােধী দলের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক ভীতি প্রদর্শন ও দমননীতি অবলম্বনের ফলে তাহা অন্তঃসারশূন্য বাক-চাতুরীতে পর্যবসিত হইয়াছে।
করাচীর বিশিষ্ট পার্সী নেতা ও শিল্পপতি জনাব কে, আর, এস ক্যাপ্টেনের গ্রেফতার সম্পর্কে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে জনাব জহীরুদ্দীন ও শেখ মুজিবর রহমান উপরােক্ত মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে বলেন যে, পশ্চিম পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠান কালে সরকারের কার্যাবলী হইতে প্রমাণিত হইয়াছে যে কোনরূপ হুমকী বা ভীতি প্রদর্শন না করিয়া নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে ক্ষমতাসীনদের সকল কথাই ভাওতা মাত্র। “তাহারা বলেন যে, পার্সী সম্প্রদায় করাচীর সামাজিক জীবনে ও ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করিয়া রহিয়াছে। এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোন সরকারই কোনরূপ ধ্বংসাত্মক কাৰ্যকলাপের অভিযােগ করেন নাই। জনাব কে, আর, এস ক্যাপ্টেন করাচীর একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং পার্সী সম্প্রদায়ের উপর তাহার বিরাট প্রভাব রহিয়াছে। তাহার একমাত্র অপরাধ যে, তিনি মরহুম হােসেন শহীদ সােহরওয়ার্দীর বিশেষ অনুগত ভক্ত এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করিয়া রহিয়াছেন। নিৰ্বাচন প্রাক্কালে পশ্চিম পাকিস্তান জনশৃংখলা আইন অনুযায়ী তাহার এই গ্রেফতারে পশ্চাতে গুঢ় কারণ রহিয়াছে। এই গ্রেফতারের দ্বারা শুধু যে, তাহার মুখ বন্ধ এবং বিরােধীদলকে নিৰ্বাচনে তাহার সাহায্য হইতে বঞ্চিত করা হইয়াছে তাহাই নহে, সমগ্র পার্সী সম্প্রদায়কেই ইহার দ্বারা নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের বিরােধিতা করার বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শন করা হইয়াছে আমরা এই অন্যায় ও দুর্নীতি মূলক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করিতেছি এবং অবিলম্বে জনাব ক্যাপ্টেনের মুক্তি দাবী করিতেছি। আমরা অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি এবং হুমকী, ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচনে সরকারী হস্তক্ষেপের অবসান দাবী করিতেছি।”

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!