You dont have javascript enabled! Please enable it!

ইত্তেফাক
২৩শে জুন ১৯৬৪

শেখ মুজিব প্রমুখের বিরুদ্ধে আনীত মামলা বাতিলের আবেদন
ঢাকার ডেপুটি কমিশনারের প্রতি হাইকোর্টের রুল জারি

(ষ্টাফ রিপোর)
ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী গতকল্য (সােমবার) ঢাকার ডেপুটি কমিশনারের প্রতি এক রুল প্রদান করিয়া আবেদনকারী শেখ মুজিবুর রহমান, শাহ আজিজুর রহমান, জনাব তাজুদ্দিন আহমদ এবং জনাব শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা চালনার জন্য প্রদত্ত আদেশ কেন বাতিল করা হইবে না ৭ দিনের মধ্যে তাহার কারণ দর্শানাের নির্দেশ দিয়াছেন।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, যে আদেশটি সম্পর্কে এই রুল প্রদত্ত হইয়াছে, তাহা হইতেছে, গত ২১শে জানুয়ারী ঢাকা-সাভার বাের্ডের একটি ঘটনা সম্পর্কে গত ১৬ই মার্চ প্রদত্ত “চার্জশীট”। প্রকাশ থাকে যে, ‘অননুমােদিত প্রচারপত্র রাখা, ভীতি ও বিরক্তি উৎপাদন এবং সাধারণ উদ্দেশ্যের বশবর্তী হইয়া উক্ত কার্যে সহায়তা করার জন্য আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযােগ আনীত হয়। আবেদনকারীরা বলেন যে, গত ২১শে জানুয়ারী দুপুরে তাহারা দুইখানি গাড়ী করিয়া সাভারের হাঙ্গামা উপদ্রুত বলিয়া কথিত এলাকা সফরে যাইতেছিলেন। ঐদিনই আবেদনকারিগণ ব্যতীত অপর দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অননুমােদিত প্রচারপত্র রাখার এবং উহা গভর্নরের গাড়ীতে নিক্ষেপের অভিযােগে একটি মামলা রুজু করা হয়। আবেদনকারীরা বলেন যে, উক্ত মামলার সঙ্গে তাঁহাদের কোন সংস্রব নাই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, উক্ত ঘটনার প্রায় ২ মাস পরে তাঁহাদের উক্ত মামলার আসামীদের সঙ্গে জড়ান হয়। তাঁহাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ করা হয় যে, তাহাদের গাড়ী দুইখানিকে একটি জীপ অনুসরণ করিতেছিল এবং উক্ত জীপ হইতে গভর্নরের গাড়ীর প্রতি প্রচারপত্র নিক্ষেপ করা হয় এবং উহা হইতে আপত্তিকর কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। জীপখানির মালিক এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী জনাব তাজুদ্দীন বলিয়া অভিযােগে উল্লেখ করা হয়। চারজন আবেদনকারীই কোন জীপের কোন আরােহীর সঙ্গে তাহাদের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। জনাব তাজুদ্দীন নিজে উক্ত জীপের মালিকানা অস্বীকার করেন। আবেদনকারীরা আরও বলেন যে, তাঁহাদের বিরুদ্ধে আনীত মামলা উদ্দেশ্যপ্রণােদিত এবং বেআইনী ও উহা দ্বারা ক্ষমতার অপব্যবহার করা হইয়াছে।
আবেদনে মামলার প্রসিডিংস বাতিল করার প্রার্থনা জানান হয়। এডভােকেট মিঃ এস, আর, পাল আবেদনকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। তাঁহাকে সাহায্য করেন জনাব আহমদ সােবহান, জনাব হুমায়ুন কবীর চৌধুরী এবং মিঃ এস, এস, হালদার।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!