You dont have javascript enabled! Please enable it! 1964.06.16 | ‘শিল্পপতিরা করমুক্ত আর কৃষক করভারে জর্জরিত- কিন্তু কেন? কিশােরগঞ্জের জনসভায় শেখ মুজিবের জিজ্ঞাসা | ইত্তেফাক - সংগ্রামের নোটবুক

ইত্তেফাক
১৬ই জুন ১৯৬৪

‘শিল্পপতিরা করমুক্ত আর কৃষক করভারে জর্জরিত
কিন্তু কেন? কিশােরগঞ্জের জনসভায় শেখ মুজিবের জিজ্ঞাসা

(ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি প্রেরিত)
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি কিশােরগঞ্জ, ১৫ই জুন- অদ্য এখানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়ােজিত এক বিরাট জনসভায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবর রহমান বলেন, যে সকল কৃষকের ২৫ বিঘার কম জমি রহিয়াছে, তাহাদেরকে ২৫ বৎসর কর প্রদান হইতে অব্যাহতি দান করিতে হইবে। তিনি বলেন, বাজেটে যেখানে বড় বড় শিল্পপতিদের ৫ বৎসরের স্থলে ১০ বৎসর পর্যন্ত ট্যাক্স হইতে অব্যাহতি দান করা হইয়াছে, সেখানে ঋণ জর্জরিত গরীব কৃষকদের কর মওকুফ সম্ভব হইবে না কেন? এই প্রসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক পেশকৃত উদ্বৃত্ত বাজেটের বিষয় উল্লেখ করেন।
বক্তৃতা প্রসঙ্গে শেখ মুজিবর রহমান ছাত্রদের উপর হইতে সকল প্রকার দমনমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের দাবী জানান। তিনি মরহুম সােহরাওয়ার্দীর আদর্শ বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। শেখ মুজিব বলেন, জনসাধারণ একতাবদ্ধ হইলে কোন শক্তিই জনমত দমন করিতে পারে না। সভায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ পূর্ব পাকিস্তানীদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য পূর্ব পাকিস্তানীদের একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বাঙ্গালীদের প্রতি সরকারী নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানান। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এডভােকেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় খােন্দকার মুস্তাক আহমদ, মেসার্স রফিক উদ্দীন ভূঁইয়া, হাতেম আলী তালুকদার, সিরাজ উদ্দীন, আবু হানিফা, আবদুল ছাত্তার, আবদুল কুদুস, সৈয়দ আবদুল খালেক ও মােয়াজ্জেম হুসেন বক্তৃতা করেন। আগামীকল্য সকালে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহ যাত্রা করিবেন ও বৈকালে ফুলপুরে এক জনসভায় বক্তৃতাদান করিবেন।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব