ইত্তেফাক
২৮শে মে ১৯৬৪
নেহরুর তিরােধানে নেতৃবৃন্দের শােকবাণী
আতাউর রহমান খান
“পণ্ডিত নেহরুর মৃত্যুতে একজন শ্রেষ্ঠতম যুগমানবের তিরােধান হইল। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অধিকারী। স্বদেশে তিনি ছিলেন দেশবাসীর পূজ্য। তাই তাহাদের নিকট মিঃ নেহরুর মৃত্যু চরমতম আঘাতস্বরূপ। সকল অর্থেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মহান। সর্বমুখী প্রতিভা, অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী একজন জাত-প্রতিভা, মানব প্রেমিক, আভিজাত্যের জ্বলন্ত প্রতীক এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নেতা ছিলেন তিনি। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তিনি মূর্ত প্রকাশ। কেবল ভারতের নয়, প্রতিবেশী দেশসমূহেরও আশা-আকাংক্ষার প্রতীক ছিলেন তিনি। বিশ্বশান্তি সংরক্ষণেও তাহার দান ছিল অতুলনীয়। সময় সময় পাক-ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত নাজুক হইয়া পড়িলেও এবং উভয় দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমূহ বিপদ মাথাচাড়া দিবার উপক্রম করিলেও তাহারই প্রচেষ্টায় দুই দেশের সম্পর্ক যতদূর সম্ভব হৃদ্যতাপূর্ণ ছিল। স্বভাবতঃই তাঁহার মৃত্যুতে শান্তি ও গণতন্ত্রের উপাসক মাত্রেই আজ ব্যথিত। তাঁহার সহিত কয়েকবার সাক্ষাতের সৌভাগ্য আমার হইয়াছিল এবং প্রতিবারই তাঁহার দুর্লভ গুণাবলী আমাকে অভিভূত করিয়াছে। তাহার মহান আত্মার শান্তি কামনা করি।”
শেখ মুজিব
“বিশ্ব একজন মহা ব্যক্তিত্বশালী লােক, দার্শনিক ও চিন্তানায়ক এবং সর্বোপরি গণতন্ত্র ও শান্তির পথিকৃৎকে হারাইল।”
সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব