You dont have javascript enabled! Please enable it! 1964.03.12 | ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি উপেক্ষা | আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

আজাদ
১২ই মার্চ ১৯৬৪

ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি উপেক্ষাঃ ঠুঁটো নেতাদের পুরাতন
খেলার পুনরাবৃত্তি ভােটাধিকারের সার্বজনীন প্রশ্নে পৃথক দিবস ঘােষণা

(ষ্টাফ রিপাের্টার)
সরকার বিরােধী গণতান্ত্রিক দলগুলির নেতাদের মধ্যে বিরােধ ও কোন্দল হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতে থাকায় পূর্ণ গণতন্ত্র ও ভােটাধিকার আদায়ের জন্য সম্মিলিত আশা প্রায় তিরােহিত হইয়াছে বলা চলে। দলমত নির্বিশেষে সকল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়ােজনীয়তা যতই বেশী করিয়া অনুভূত হইতেছে, বিভিন্ন দলের নেতারা ততই একে অপরের সংস্পর্শ এড়াইয়া চলার চেষ্টা করিয়া যাইতেছেন।
প্রাপ্তবয়স্কদের ভােটাধিকার সংক্রান্ত দাবী জনগণের, তথা সকল বিরােধী দলের সার্বজনীন দাবী হইলেও এবং এই ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে এতদিন জোরেসােরে প্রচার করা সত্ত্বেও বর্তমানে কতিপয় পুনরুজ্জীবিত পুরাতন রাজনৈতিক দল ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের পৃথক পৃথক কর্মসূচী দৃষ্টে গণতন্ত্রমনা জনসাধারণ হতাশ হইয়া পড়িতেছেন। এখানে উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, গত ৮ই মার্চ জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী ১৫ই মার্চ প্রদেশব্যাপী ভােটাধিকার দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত ঘােষণা করা হয়।
অপরদিকে গতকল্য বুধবার পুনরুজ্জীবিত আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ মহল এক বিবৃতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের ভােটাধিকার ও প্রত্যক্ষ নির্বাচনের দাবী আদায়ের জন্য একটি পৃথক সংগ্রাম কমিটি গঠনের কথা ঘােষণা করেন এবং আগামী ১৮ই ও ১৯শে মার্চ দাবী আদায় দিবসরূপে ঘােষণা করেন। এই দিন তাহারা জনসভা ও বিক্ষোভের আয়ােজন করিতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাইয়াছেন। উক্ত সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ হইতে আওয়ামী লীগের মওলানা তর্কবাগীশ ও শেখ মুজিবর রহমান, ন্যাপের মওলানা ভাসানী ও জনাব মহিউদ্দীন আহমদ, সাবেক জামাতে এছলামীর জনাব আখতার উদ্দীন আহমদ এম, এন, এ, ও মওলানা আবদুল আলী এম,পি, এ, নেজামে ইসলামের মওলানা সৈয়দ মােসলেহ উদ্দীন ও মওলানা সিদ্দিক আহমদ স্বাক্ষর দান করেন। কাউনসিলপন্থী মােছলেম লীগ এই সম্পর্কে এখনও কোন সিদ্ধান্ত ঘােষণা করেন নাই। তবে প্রাদেশিক লীগের সেক্রেটারী জনাব সফিকুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক মওলানা নুরুজ্জামান বর্তমানে প্রদেশের বিভিন্ন স্থান সফর করিয়া ভােটাধিকার সম্পর্কে প্রচার চালাইতেছেন।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব