You dont have javascript enabled! Please enable it!

সংবাদ
৮ই আগস্ট ১৯৬৩

জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জনাব আবু হােসেন সরকার, সাবেক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবর রহমান, সাবেক ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহমুদ আলী, জনাব সৈয়দ আজিজুল হক, সাবেক মুসলিম লীগ সম্পাদক জনাব শাহ আজিজুর রহমান, সাবেক কৃষক শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক জনাব মােহাম্মদ সােলায়মান ও মওলানা পীর মােহসীন উদ্দীন এক যুক্ত বিবৃতিতে খান আবদুল গফফার খানের সঙ্কটাপন্ন অবস্থার সংবাদ পাইয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করিয়া এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তাহারা বলেন, “মুলতানের নিশতার হাসপাতালে খান আবদুল গফফার খানের সঙ্কটাপন্ন অবস্থার সংবাদে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হইয়া পড়িয়াছি। স্বাধীনতা আন্দোলনের এই অগ্নিপুরুষের জন্য দেশব্যাপী উদ্বেগ বিরাজ করিতেছে।
তাহারা বলেন, অন্যান্য বহু রাজবন্দীর সহিত খান আবদুল গফফার খান আজিও লৌহ শৃঙ্খলে আবদ্ধ রহিয়াছেন। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে গণতন্ত্রের অবসান হইতে তাঁহারা চরম দুর্ভোগ ভুগিতেছেন। বহুদিন ধরিয়া তিনি অসুস্থ আছেন অন্যান্য রাজবন্দী সহ জনাব গফফার খানের মুক্তির জন্য দেশের সকল মহল হইতেই দাবী উত্থিত হয় নাই। প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদও দাবী জানাইয়াছে। কিন্তু বর্তমান সরকার নাগরিকদের অধিকার হরণের নীতিতে অবিচলই রহিয়াছেন।”
বিবৃতিতে তাহারা বলেন, “খান আবদুল গফফার খান বর্তমানে অসুস্থ। সংবাদে প্রকাশ, তাহার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন। খােদা না করুন, যদি কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটে, সরকারকেই তাহার সকল দায়িত্ব বহন করিতে হইবে।” বিবৃতির উপসংহারে তাহারা বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণের পক্ষ হইতে পুনরায় দাবী করিতেছি যে, খান আবদুল গফফার খান সহ সকল রাজবন্দী ও রাজনৈতিক কারণে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়া হউক।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!