You dont have javascript enabled! Please enable it!

সংবাদ
১৭ই অক্টোবর ১৯৬২

রংপুরে উত্তর বঙ্গের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশে নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা
৫ মণ পাটের মূল্যে ১ মণ চাউল, মানুষ বাঁচিবে কি করিয়া ঃ সােহরাওয়ার্দী
পরিস্থিতি মােকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান

(নিজস্ব প্রতিনিধির তার)
রংপুর, ১৬ই অক্টোবর। এখানে দেড় লক্ষ লােকের এক ঐতিহাসিক সমাবেশে জাতীয় ফ্রন্ট নেতা জনাব শহীদ সােহরাওয়ার্দী বলেন, দেশ আজ সমস্যায় জর্জরিত- পাটের দাম নাই, কৃষি ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিদারুণভাবে বিপর্যস্ত, সর্বগ্রাসী বন্যার মুখে দেশ পতিত হইয়াছে। কৃষকের হাতে যখন পাট থাকে তখন দর নাই- পাট হাত ছাড়া হইলে দাম বাড়ে। আজ দরিদ্র কৃষককে একমণ চাউলের জন্য ৫ মণ পাট দিতে হইতেছে। এই অবস্থায় কি কেহ বাঁচিতে পারে?
রংপুরের জনসভা ঢাকা ব্যতীত সমগ্র প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে যতগুলি জনসভা অনুষ্ঠীত হইয়াছে, তন্মধ্যে সর্ববৃহৎ। অদ্য সকাল হইতে রংপুর শহরের বুকে নতুন প্রাণের জোয়ার নামিয়া আসে। বাধ ভাঙ্গা বন্যার মত জনস্রোত শহরতলি ও সুদূর পল্লী অঞ্চল হইতে স্বতঃস্ফূর্ত ধারায় প্রবাহিত হইয়া এক অভাবনীয় আশা উদ্দীপনায় রংপুরের আকাশে বাতাসে আলােড়নের সৃষ্টি করে। কৃষক মজুর, ছাত্র-জনতা পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চল হইতে মিছিল সহকারে বজ্র গম্ভীর স্বরে সহস্র কণ্ঠে শ্লোগান দিতে দিতে সমবেত হইতে থাকে। রংপুর শহরের আকাশ-বাতাসে সকাল হইতে শুরু করিয়া সারা দিনই প্রতিধ্বনি উঠে- জাতীয় ফ্রন্ট জিন্দাবাদ, জাতীয় নেতৃবৃন্দ জিন্দাবাদ, গণতন্ত্র কায়েম কর, ভাসানী গফফার খানের মুক্তি চাই, শােষণ নীতি বন্ধ কর। জনাব সােহরাওয়ার্দী বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যায় যে দশ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হইয়াছে, তাহা এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য, কল্যাণের জন্য।
জনাব সােহরাওয়ার্দী বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যায় যে দশ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হইয়াছে, তাহা এই অঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনার বরাদ্দ অর্থ হইতেই প্রদত্ত হইয়াছে অপর দিকে পশ্চিম পাকিস্তানে এ যাবষ্কাল গুণ্ডাবাজ কায়েম রহিয়াছে। তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, এই অবস্থায় কোন দেশ কত দিন চলিতে পারে। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব আবু হােসেন সরকার।
জনাব সােহরাওয়ার্দী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পশ্চাতে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র। সমাজ ও ৯ নেতার বিবৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাইয়া বলেন যে, তাহাদের সমােচিত কার্যক্রমের ফলেই বর্তমান গণ ঐক্য গড়িয়া উঠার সুযােগ সৃষ্টি হইয়াছে। তিনি বলেন যে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক কায়েদে আজম আজীবন সংগ্রাম করেন তিনি যদি জানিতেন যে, তাহার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হত্যা করিয়া এক নায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করা হইবে, তবে তিনি কখনই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করিতেন না। কায়েদে আজম ছিলেন গণতন্ত্রের অগ্রদূত অথচ আজ সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করিয়া জনগণের ন্যায্য অধিকার হইতে দেশের সকলকে বঞ্চিত করা হইয়াছে।
জনাব সােহরাওয়ার্দী বলেন যে, আজ পাকিস্তানের উভয় অংশের জনসাধারণ জাগিয়াছে। তাহাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়া পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হইয়াছে। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমানে দেশের নেতৃত্ব পূর্ব পাকিস্তানের হাতে আসিয়াছে। তিনি বলেন যে, এই পূর্ব পাকিস্তানই দেশের স্বাধীনতা অর্জন করিয়াছে। তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনসাধারণের প্রতি আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান জানান।
সােলায়মান
সাবেক কে, এস, পি, নেতা জনাব সােলায়মান বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান গণতন্ত্রের সংগ্রাম এক ঐতিহাসিক ঘটনা। বৰ্ত্তমান ঐক্য স্বাধীনতাকালের ঐক্য অপেক্ষা বহুগুণ শক্তিশালী। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর হইতে কখনও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে সামরিক আইন জারী করিয়া গণতন্ত্রের দ্বার রুদ্ধ করা হয়। তিনি যে কোন মূল্যে গণঐক্য রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
হােসেন মনসুর
জনাব হােসেন মনসুর এম এন এ বলেন যে, বর্তমান শাসনতন্ত্রকে অবশ্যই পরিবর্তন করিতে হইবে। বর্তমান শাসনতন্ত্রে পরিষদ জনগণের কল্যাণকর কোন কাজে যে কোন বিল ইচ্ছা করিলে বিধিবদ্ধ করিতে পারে না। প্রেসিডেন্ট যদি সম্মতি না দেন তবে পরিষদের কোন ক্ষমতা থাকে না।
মাহমুদ আলী
জনাব মাহমুদ আলী বলেন যে, আমাদের সংগ্রামের পথ সার্থকতার স্বর্ণশিখরে পৌছিবেই- কোন শক্তিই এই গণঐক্যে দুর্বার যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টি করিতে পারে না।
তিনি বলেন যে, দেশ আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। খাদ্য সমস্যা, শিক্ষা সমস্যায় জাতির জীবনকে চরম সঙ্কটের মুখে ঠেলিয়া দিয়াছে। এই বিরাট সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব আমাদের স্বহস্তে গ্রহণ করিতে হইবে। কিন্তু সবার আগে জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করিতে হইবে। সাম্রাজ্যবাদের বন্ধুরা পাশব শক্তির বলে জনগণের অধিকারকে কাড়িয়া লইয়াছে। সর্বশক্তি প্রয়ােগে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করিয়া জনগণকেই সেই স্বাধিকার লাভ করিতে হইবে। ঐক্যের হাতিয়ারের সাহায্যে এই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আমাদিগকে জয়ী হইতে হইবে।
শেখ মুজিবর রহমান
শেখ মুজিবর রহমান বলেন যে, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বর্তমান শাসক গােষ্ঠী জনাব সােহরাওয়ার্দী, আতাউর রহমান, মাহমুদ আলী প্রমুখ জাতীয় ফ্রন্টের সকল নেতাকে জেলে আটক করতে পারেন। কিন্তু সত্যই যদি তাহা ঘটে তবে জাতি নীরবে এই অবিচার সহ্য করিবে না। এইরূপ ঘটনার জন্য আজ জনগণ ভীত নহে- আজ দেশবাসী সকলেই তাহাদের নেতাদের সহিত জেলে আবদ্ধ হইতে পিছপা হইবে না।
আতাউর রহমান
জনাব আতাউর রহমান বলেন যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর রাজনৈতিক নেতারা ধাপে ধাপে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হন। সাধারণ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতির যখন সমাপ্ত ঠিক তখন সামরিক সরকার কায়েম হইল। তিনি জনসাধারণকে বলেন, আপনারাই স্বাধীনতা অর্জন করেন, এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ আপনারা করিবেন। এই জন্য ঐক্যবদ্ধ হউন।
সভায় গৃহীত প্রস্তাব
রংপুর অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি জনাব মসিউর রহমান সভার প্রারম্ভে আগামী ২৭শে অক্টোবর বিপ্লব দিবস উদ্যাপন না করিয়া উক্ত দিন “রাজনৈতিক বন্দীমুক্তি দিবস” রূপে উদযাপন করার আহ্বান জানাইলে তাহা সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সভায় গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক নয়া শাসনতন্ত্র প্রণয়ন, ভাসানী, গফফার খানসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, কাইয়ুম খানের উপর আরােপিত বাধা নিষেধের প্রতিবাদ, রংপুরের বন্যাদুর্গত এলাকাকে দুর্ভিক্ষ এলাকা ঘােষণার দাবী জানাইয়া কতিপয় প্রস্তাব গৃহীত হয়।

পার্বতীপুর
(নিজস্ব প্রতিনিধির তার)
রংপুর হইতে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধির তারবার্তায় বলা হয় যে, অদ্য সকালে পার্বতীপুরের জিয়া ময়দানে বিশ সহস্র লােকের এক সমাবেশে জাতীয় ফ্রন্ট নেতা জনাব শহীদ সােহরাওয়ার্দী বলেন, জনতার অচ্ছেদ্য ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হইলে তাহা অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা কাহারও নাই।
শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠীত ব্যক্তিদের উদ্দেশে জনাব সােহরাওয়ার্দী বলেন, সমভাবে সকলের প্রতি সুবিচার দ্বারা প্রকৃত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে। পূর্ব পাকিস্তান, সিন্ধু, সীমান্ত, বেলুচিস্তান, বাহওয়ালপুর, পাঞ্জাব ইত্যাদি সকল অঞ্চলের প্রতি সমান ব্যবহার করার জন্য তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জনাব সােহরাওয়ার্দী ছাত্র সমাজের প্রতি অভিনন্দন জানাইয়া বলেন, ছাত্ররাই সত্যিকার দেশপ্রেমিক। সামরিক শাসন আমলে সাজাপ্রাপ্তদের প্রতি যে অবিচার করা হইয়াছে, তাহার কঠোর সমালােচনা করিয়া তিনি বলেন যে, ছাত্র নেতা কাজী শহীদের অপরাধ ছিল এই যে, তিনি অন্যায় শর্তের বণ্ডে স্বাক্ষর দান করিতে অস্বীকার করেন এবং শুধু মাত্র এই অপরাধে সামরিক সরকার তাহাকে ১৪বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। এই কঠিন শাস্তি কেবল খুনী আসামীকেই দেওয়া যাইতে পারে।
জনাব সােহরাওয়ার্দী বলেন যে, জনগণের ক্ষমতা কাড়িয়া লওয়া হইয়াছে। উহা পুনরায় ফিরাইয়া আনিতে হইবে। এই জন্য আমাদিগকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করিতে হইবে।
মাহমুদ আলী
জনাব মাহমুদ আলী বলেন যে, প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জনগণকে কঠোরতর সংগ্রামে অবতীর্ণ হইতে হইবে।
জনাব মাহমুদ আলী তেজদৃপ্ত কণ্ঠে ঘােষণা করেন, পাকিস্তানী জনগণের সত্যকার স্বাধীনতার সংগ্রাম জোরদার করিতে হইবে; জেল-জরিমানা সকল নিৰ্যাতন উপেক্ষা করিয়া আমাদের স্বাধীনতার দুর্বার সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী ও সংহত করিতে হইবে। পনের বৎসর পূর্বে যে স্বাধীনতা আমরা লাভ করিয়াছিলাম, তাহা বর্বর শক্তির সাহায্যে ছিনাইয়া লওয়া হইয়াছে সেই শক্তির হাত হইতে জনগণের স্বাধীনতাকে ফিরাইয়া আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হইতে হইবে। পাশব শক্তি সাফল্য লাভ করিয়াছে এই জন্য যে, আমরা নিদ্রামগ্ন ছিলাম। কিন্তু আজ আর দ্রিার অবকাশ নাই। চট্টগ্রাম হইতে সুদূর কোয়েটা পর্যন্ত প্রতিটি মানুষকে জাগাইয়া দিন, ঐক্য বদ্ধ হউন- স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক আসিয়াছে।
আতাউর রহমান
জনাব আতাউর রহমান বলেন যে, আমরা যখন দলীয় মত-বিরােধে বিভক্ত হইয়া গিয়াছিলাম তখন আইয়ুব খান বলেন, আমাদের ঐক্য নাইকোন্দলের জন্য দেশ গেল। তাই তিনি দেশ উদ্ধার করেন। এখন আমরা ঐক্যবদ্ধ জনগণ জাগ্রত অথচ আইয়ুব খান বলিতেছেন আমরা বিভেদ সৃষ্টি করিতেছি। আজ আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ হইয়াছি, তখন হৃত স্বাধীনতা যেকোন মূল্যে ফিরাইয়া আনিতে হইবে। গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে আজ জাতীয় ফ্রন্টের বাণী পৌছাইয়া দিন।

শেখ মুজিবর রহমান
শেখ মুজিবর রহমান বলেন যে, সামরিক শাসনকালের শেষ দিকে দেশের ভাগ্যে চরম দুর্গতি দেখা দেয়। প্রত্যেকটি দ্রব্য অগ্নিমূল্য, লােকের হাতে পয়সা নাই, দুর্নীতির হার আজ সভ্যতার পক্ষে লজ্জাকর মাত্রায় পৌছিয়াছে।
তিনি আরও বলেন যে, মওলানা ভাসানী-গফফার খানের ন্যায় দেশবরেণ্য দেশ প্রেমিক আজ জেলে। জনগণের অধিকার নাই নাগরিক হিসাবে ভােটে নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচনের। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনগণের সগ্রামকে যত সুসংহত করা যাইবে একনায়কত্বের অবসান ততই দ্রুততর হইবে।
জনাব মুজিব আরও বলেন যে, স্বাধীনতার এই সংগ্রামের জন্য জনাব সােহরাওয়ার্দীসহ আমাদের সকল নেতৃবৃন্দকে হয়ত আবার গ্রেফতার হইতে হইবে। যাহারা জনসভার আয়ােজনের হােতা তাঁহারাও হয়ত বাদ যাইবেন না। কিন্তু জনগণের ঐক্যের সংগ্রাম বন্ধ হইবে না। আমাদের গণঐক্য অটুট থাকিলে জালেমের সকল আস্ফালন, অত্যাচার-উৎপীড়নের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।
আবু হােসেন সরকার
জনাব আবু হােসেন সরকার বলেন যে, বর্তমান সরকার নেতৃবৃন্দকে অযােগ্য বলিয়া অখ্যাত-ঘৃণিত। বর্তমান একক শাসনকর্তা দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখিতে ব্যর্থ হইয়াছেন। কাশ্মীর উদ্ধারের আশা নাই; জুনাগড় রক্ষার দায়িত্ব ছিল তাঁহার। পূর্ব পাকিস্তানের যে সব অঞ্চল ভারত বলপূর্বক ছিনাইয়া লইয়াছে। তাহা রক্ষার দায়িত্ব কাহার? মন্ত্রীদের বেতন বর্তমানে কতগুণ বৃদ্ধি করা হইয়াছে তাহা সকলেই জ্ঞাত আছেন। তিনি আরও বলেন যে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, করাচী, যশাের, খুলনা ও অন্যান্য স্থানে শিল্প শ্রমিক ও ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলী ও লাঠি চালনা করিয়া বর্তমান সরকার জনপ্রিয়তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করিয়াছেন। আজ সকালে রাজশাহী হইতে পার্বতীপুর ষ্টেশনে আগমন করিলে নেতৃবৃন্দকে বিরাট জনতা অভিনন্দন জানায়।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!