You dont have javascript enabled! Please enable it! 1962.07.09 | রাজনৈতিক ঐক্যের প্রতীক পল্টনের সভামঞ্চ | সংবাদ - সংগ্রামের নোটবুক

সংবাদ
৯ই জুলাই ১৯৬২

রাজনৈতিক ঐক্যের প্রতীক পল্টনের সভামঞ্চ

(নিজস্ব বার্তা পরিবেশক)
গতকল্যকার ঐতিহাসিক জনসভার মঞ্চটিও এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক একতার অবতারণা করে।
মঞ্চে সভাপতির আসনে বসিয়াছিলেন পূর্ব বাংলার এক বিশিষ্ট রাজনৈতিক প্রতিভা জনাব নূরুল আমীন। তাঁহার পাশেই একদিকে জনাব আতাউর রহমান এবং অন্যদিকে ভাবগম্ভীরভাবে তােফাজ্জল হােসেনকে (মানিক মিয়া) উপবিষ্ট থাকিতে দেখা যায়। ইহার পরেই জনাব শেখ মুজিবর রহমান, ন্যাপের জনাব মাহমুদ আলি, কৃষক শ্রমিক পার্টির জনাব সৈয়দ আজিজুল হক, আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি জনাব আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, জনাব আবু হােসেন সরকার, জনাব সােলায়মান, মুসলিম লীগের প্রাক্তন সেক্রেটারী জনাব শাহ আজিজুর রহমান, প্রাক্তন নেজামে ইসলাম পার্টির জনাব পীর মােহসেন উদ্দিন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জনাব জহীরউদ্দিন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনাব ফজলুর রহমান, প্রাক্তন স্পীকার জনাব আবদুল করিম, প্রাক্তন আইনমন্ত্রী জনাব মােহাম্মদ ইব্রাহীম (নীতিগত প্রশ্নে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা হইতে পদত্যাগ করেন), ন্যাপের প্রাক্তন এম,পি,এ জনাব মহিউদ্দিন ও জনাব আলতাফ হােসেন এম,পি,এ প্রমুখ প্রাক্তন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু পল্টনের এই জনসভায় শেরে বাংলা ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী এবং জাতীয় নেতা হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর অনুপস্থিতি জনসাধারণ তিলে তিলে অনুভব করে।
কিন্তু সব সত্ত্বেও মঞ্চের নেতৃসমাবেশে যে বিষয়টি সর্বাপেক্ষা সুতীক্ষ ও সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়া উঠে, তাহা হইতেছে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সংগ্রামী একতা। এই ব্যাপক রাজনৈতিক একতা শুধু পূর্ব পাকিস্তান নহে, সারা পাকিস্তানের পক্ষে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এই একতার উপরে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ভর করিতেছে।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব