You dont have javascript enabled! Please enable it! 1960.11.11 | শেখ মুজিব ও আবু নাসেরের আপীল হাইকোর্টে শুনানীর জন্য গৃহীত | আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

আজাদ
১১ই নভেম্বর ১৯৬০

শেখ মুজিব ও আবু নাসেরের আপীল হাইকোর্টে শুনানীর জন্য গৃহীত

(হাইকোর্ট রিপাের্টার)
গত বুধবার পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি জনাব হাসান ও জনাব এম, আর খান কর্তৃক শেখ মুজিবর রহমান ও কাজী আবু নাসেরের আপীল আবেদনটি শুনানীর জন্য গৃহীত হয় ও তাহাদের উভয়ের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযােগ্য যে, গত সােমবার বাৎসরিক অবকাশের পর হাইকোর্ট খুলিলে উক্ত আবেদনটি শুনানীর জন্য গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে তাহাদের উভয়ের আবেদনের বিবেচনা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এবং উভয়ের অন্তর্বর্তী কালীনে জামিন বহাল রাখা হয়।
এখানে উল্লেখযােগ্য যে, ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ জনাব এ, মওদুদ গত ১২ই সেপ্টেম্বর শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী আবু নাসেরকে যথাক্রমে সরকারী ক্ষমতা অপব্যবহারের ও উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররােচনা দানের জন্য দোষী সাব্যস্ত করিয়া উভয়কে দু’বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে গত ২০শে সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আপীল দায়ের করা হয়। পুনরায় হাইকোর্ট খােলার পর শুনানী সাপেক্ষে আবেদনটির গ্রহণযােগ্যতা বিবেচনার জন্য স্থগিত রাখিয়া তাহাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়।
আবেদনকারীর পক্ষে বলা হয় যে, শেখ মুজিবুর রহমান উজির হিসাবে তাহার পূর্বেকার কোন অন্যায় আদেশের পুনর্বিবেচনা করিয়া উহাকে ন্যায়সঙ্গতভাবে সংশােধন করার উদ্দেশ্যেই দর্শনীয় সফট কোক উৎপাদন কারখানা স্থাপনের প্রয়ােজনীয় লাইসেন্স সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ হাসান আহমদ লিমিটেডের নাম হইতে প্রত্যাহার করিয়া উহা যােগ্যতম বলিয়া বিবেচিত প্রতিষ্ঠান কাজী আবু নাসেরকে প্রদান করেন।
এক্ষেত্রে তাঁহার সহিত আবু নাসেরের ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রসঙ্গ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। আবেদন পেশ কালে আরও বলা হয় যে উজীর হিসাবে তাঁহার বিভাগীয় কার্যক্রমের পুনর্বিবেচনা করিবার ক্ষমতা তাঁহার রহিয়াছে।
আবেদনকারীদের পক্ষ শ্রবণ করিয়া বিচারপতিগণ তাহাদের আবেদন শুনানীর জন্য গ্রহণ করেন এবং তাহাদের জামিন মঞ্জুর করেন ও জরিমানার টাকা আদায় স্থগিত রাখিবার আদেশ প্রদান করেন।
জনাব আবদুস সালাম খান এডভােকেটের সহিত জনাব সিরাজুল হক, জনাব হুমায়ুন কবীর ও জনাব জহিরুদ্দীন আবেদনটি পেশ করেন।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব