You dont have javascript enabled! Please enable it! 1960.05.25 | শেখ মুজিবের মামলা গতকল্য আটজনের সাক্ষ্য গৃহীত | আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

আজাদ
২৫শে মে ১৯৬০

শেখ মুজিবের মামলা গতকল্য আটজনের সাক্ষ্য গৃহীত
(কোর্ট রিপাের্টার)

গতকল্য মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগের স্পেশাল জজ জনাব এ, এস, এম রাশেদের এজলাসে প্রাক্তন প্রাদেশিক শিল্প বাণিজ্য ও শ্ৰম উজির শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁহার ভ্রাতা আবু নাসেরের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি মামলায় আরও ৮ ব্যক্তির সাক্ষ্য গৃহীত হয়।
গতকল্যকার সাক্ষীদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযােগ্য হইতেছেন তকালীন প্রাদেশিক শিল্প ডিরেক্টর জনাব রুহুল কুদ্দছ সি, এস, পি। শেখ আবু নাসের উক্ত আল আমীন ইন্ডাষ্ট্রিজের অংশীদার কিনা তাহা তিনি লাইসেন্স দেওয়ার সময় জানিতেন না।
সাক্ষী আরও বলেন যে, শিল্প উজির কোন ব্যক্তি বিশেষের নামে কোন লাইসেন্স দিতে বলেন নাই।
তিনি আরও বলেন, উজীর সাহেব কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের নাম লাইসেন্সে-এর তালিকা ভুক্ত করিতে বলিয়াছিলেন কি না তাহা তাহার মনে নাই। জনাব রুহুল কুদ্দস বলেন ঃ যশােরে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট থাকাকালে আমি পুলিশের নিকট জবানবন্দী করি। দুইবারই হােম ডিপার্টমেন্ট হইতে আমাকে ঢাকায় ডাকিয়া পাঠান হয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশ যে দুইবার আমার নিকট জবানবন্দি গ্রহণ করে তন্মধ্যে একবার এডভােকেট জেনারেলের বাসায় এবং একবার দুর্নীতি দমন বিভাগের অফিসে উহা গৃহীত হয়। অদ্যকার অন্যান্য সাক্ষ্যগণ প্রধানতঃ কাগজপত্রাদি প্রমাণ করেন। শেষ সাক্ষী এই মামলার তদন্তকারী অফিসার জনাব মেহরাব আলী চৌধুরী বলেন যে, তিনি গত ১০/২/৫৯ তারিখে তদন্ত শুরু করেন এবং ৯/১১/৫৯ তারিখে চার্জশীট দেন। এই সাক্ষীর জেরা শুরু হওয়ার পূৰ্বেই আদালতের অধিবেশন এই দিনের মত শেষ হয়। অদ্য বুধবার পুনরায় মামলার শুনানী শুরু হইবে।

পূর্ব দিনের শুনানীর বিবরণ
সরকার পক্ষ সােমবারও দুইজন প্রধান সাক্ষী আসামীপক্ষে চলিয়া যাওয়ার আশঙ্কায় তাহাদিগকে আদালতে উপস্থিত করিতে বিরত রাখেন। সাক্ষীদ্বয়ের একজন আল আমীন ইন্ডাষ্ট্রিজের অন্যতম পার্টনার জনাব গােলাম হায়দার চৌধুরী ও অপরজন জনাব গােলাম বারী।
এ পর্যন্ত সরকার পক্ষের এডভােকেট দুইজন সাক্ষীকে বিরােধী ঘােষণা ও মােট ৩ জনকে আদালতে হাজীর করিতে বিরত থাকেন।
শিল্প বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব এস, এস, এ, মওদুদ ও অপর একজন। সরকারী কর্মচারীর সাক্ষ্য গৃহীত হয়।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব