আজাদ
২৬শে এপ্রিল ১৯৬০
শেখ মুজিবের মামলা
১৬ই মে পর্যন্ত শুনানী মুলতবী
ঢাকা, ২৫শে এপ্রিল। অদ্য স্পেশাল জজ জনাব এ এস এম রশিদের আদালতে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্তন উজীর শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিশেষ ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযােগ সম্পর্কিত মামলার শুনানী হয়।
এ কাৰ্য্যে সাহায্যের অভিযােগ সম্পর্কে শেখ মুজিবের ছােটভাই শেখ আবু নছরও এই মামলার অন্যতম আসামী। অদ্য এই মামলার শুনানী শুরু হইলে বিবাদীর কৌঁসুলি জনাব এইচ এস সােহরাওয়ার্দী শুনানী মুলতবী রাখার আবেদন জানান। তিনি বলেন যে, তাঁহার বিরুদ্ধে এবডাে মামলার শুনানীর জন্য তাহাকে লাহাের উপস্থিত থাকিতে হইবে। ইহার পর এই মামলার শুনানী আগামী ১০ই মে পর্যন্ত মুলতবী রাখা হয়। ঐ তারিখে সরকার পক্ষের সাক্ষ্য গৃহীত হইবে।
অভিযােগের বিবরণে প্রকাশ, পূর্ব পাকিস্তান সরকারের বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্প দফতরের উজীর থাকাকালে, এই দফতর ১৯৫৭ সালের মার্চমাসে নুতন শিল্প স্থাপনের অনুমতিদানের জন্য কতকগুলি দরখাস্ত আহ্বান করে। এক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৪জন অংশীদার মােমেনশাহীর টাঙ্গাইলে এক ক্যালেণ্ডারিং
১৭
কারখানা স্থাপনের জন্য লাইসেন্সের আবেদন পেশ করেন। ইত্যবসরে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ৪ জন অংশীদার ও শেখ মুজিবর রহমানের ভাই আবু নছরের মধ্যে অংশীদার সম্পর্কে এক দলিল রেজিষ্ট্রি হয়। এই দলীলের মর্ম হইলকোনরূপ মূলধন নিয়ােগ না করিয়াও তিনি সমস্ত ব্যবসায়ের তিন আনা শেয়ারের মালিক হইবেন। এই দলীল রেজিষ্ট্রী হওয়ার পর শেখ মুজিবর রহমান এই ফাৰ্ম্মকে দুই লক্ষ ৩৬ হাজার টাকায় এক লাইসেন্স মনজুর করেন। এবং এইভাবে সরকারী পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া তাহার ভাই আবু নছরের জন্য আর্থিক সুবিধা করিয়া দেন। অভিযােগের বিবরণে আরও প্রকাশ, উক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশীদারগণ শেখ মুজিবর রহমানকে আওয়ামী লীগের জন্য ১৫শত টাকা দেন। তাহার ভাই শেখ আবু নছরের মারফত এই টাকা দেওয়া হয়।
জনাব মােয়াজ্জেম হােসেন খানের সাহায্যে জনাব আজিজুদ্দিন আহমদ সরকার পক্ষে এবং জনাব সােহরওয়ার্দী ও জনাব জহিরুদ্দিন বিবাদী পক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন। – এ,পি,পি
সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় খণ্ড: ষাটের দশক ॥ প্রথম পর্ব