২৯ মার্চ ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ-চট্টগ্রাম
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের দায়িত্ব শমশের মুবিন চৌধুরীর পরিবর্তে ক্যাপ্টেন হারুন আহমেদ চৌধুরীর উপর নেস্ত করা হয়েছে। এখন থেকে বেতার কেন্দ্রে প্রচারিতব্ব সকল স্ক্রিপ্ট তিনি পরীক্ষা করে দেখবেন। শমশের মুবিন পটিয়ায় জিয়াউর রহমানের সাথে সংযুক্ত থাকবেন। (শমশের মুবিন চৌধুরী ২৮ তারিখে অনেকবার স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন)। তিনি নিজ দায়িত্ব নিয়ে বেতার ঘোষণায় বিদ্রোহী বাঙালী সেনাবাহিনীর নাম দেন বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট। তিনি বেতার ঘোষণায় আরও প্রচার করেন সকল বিদ্রোহী সেনাদের লালদিঘী ময়দানে ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভুইয়ার কাছে রিপোর্ট করতে। (আগরতলার পত্রিকা সমুহ এ ঘোষণাকে বিকৃত করে লিখত জিয়ার কাছে রিপোর্ট করুন) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ আর মল্লিক এ ঘোষণা শুনে তাকে ফোন করে ঘোষণা প্রচার বন্ধ করান। চট্টগ্রাম থেকে দলে দলে লোকজন দক্ষিনে কক্সবাজার অভিমুখে যেতে থাকে। শেষ রাতে পিএনএস জাহাঙ্গীর থেকে শহরে গোলা বর্ষণ করা হয়। কুমিল্লা থেকে ৩ কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের কিছু কমান্ডো একটি সি ১৩০ প্লেনে করে চট্টগ্রামের আকাশে ঘুরপাক খেয়ে বিমানবন্দরে অবতরন করে রাত ৮ টার পর কালুরঘাট ব্রিজের দিকে তারা গোলাবর্ষণ করে। এদিন পাকবাহিনী আগ্রাবাদ রোড অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। তারা কোর্ট ভবন মেডিক্যাল কলেজ দখলে নেয়। আসকের দীঘিতে পাক বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী বাহিনীর ১২ ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চলে।