২৫ মার্চ ১৯৭১ঃ অসহযোগ আন্দোলনের ২৫ তম দিন
এদিনও ঢাকার পথে পথে অসংখ্য মিছিল শোভাযাত্রা সভা হয়। জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জহুরুল হক হলে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর উপস্থিতি। সকল সরকারি অফিস, আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সারা বাংলায় সরকারী, বেসরকারি ভবন শীর্ষে কালো পতাকার পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়। চট্টগ্রামে সোয়াত জাহাজের অস্র খালাসকে কেন্দ্র করে জনতা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। সেখানে সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর গুলি বর্ষণে ৩৫ জন নিহত ৭৫ জন আহ হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার আনসারীর নেতৃত্বএ সেনা ও নৌ বাহিনীর একটি দল ব্যাপক প্রানহানি করেও যখন অস্র খালাসে ব্যর্থ হন তখন সেখানে একজন ঊর্ধ্বতন বাঙ্গালী অফিসার প্রেরনের আবশ্যকতা মনে করে জরুরী ভিত্তিতে তা তলব করেন। কর্নেল শিঘ্রি এর আদেশে ৮ ইবির সিও লেঃ কঃ আব্দুর রশিদ জানজুয়ার নির্দেশে একটিভ আর্মি (অপর সিনিয়র লেঃ কঃ এমআই মজুমদার প্রশিক্ষনের দায়িত্ব এ ছিলেন) ৮ ইস্ট বেঙ্গলের টু আইসি মেজর জিয়াউর রহমান নৌ বাহিনীর একটি দল নিয়ে জাহাজের মাল খালাসের জন্য বন্দরের দিকে পাঠান। দলটি অগ্রসর হলে পথে ব্যারিকেড অপসারনে নিয়োজিত ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান বাধা দিলে তিনি ফিরে আসেন। (সেখানে অস্র খালাস ঘটনায় জিয়াকে আটকের নির্দেশ ছিল) শেখ মুজিবুর রহমান আরও কিছু নির্দেশাবলী জারী করেন।