২৫ মার্চ ১৯৭১ঃ রাতে শেখ মুজিবের তৎপরতা
সন্ধ্যায় মতান্তরে রাত ৯টার পর শেখ মুজিব তাঁর বাসভবনে উপস্থিত দলীয় নেতা, কর্মী, সমর্থক, ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া খান সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট অখণ্ড পাকিস্তানের সমাপ্তি টানতে চলেছেন। সন্ধ্যায় রেহমান সোবহান, পশ্চিম পাকিস্তানী সাংবাদিক, লেখক বাম নেতা তারিক আলীর পিতা মাজহার আলী, রাতে তাজউদ্দিন, কামরুজ্জামান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, রাত নয়টার পর ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, ডঃ কামাল হোসেন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শিপিং কর্পোরেশনের এম ডি ক্যাপ্টেন রহমান, প্রাক্তন নৌ বাহিনী কর্মকর্তা কম্যান্ডার ফারুক লেঃ মতিউর রহমান রাত ১১ টায় আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজুল আলম খান, আসম আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজ, শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা জাকারিয়া চৌধুরীর ভাই ঝনটু ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে আসেন। জেনারেল ওসমানী, তোফায়েল আহমেদ,রাতেই শেখ মুজিবের সাথে দেখা করেন। আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমএ আউয়াল শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে আনসারের নামে বরাদ্ধ অস্র যা পুলিশ লাইনে জমা আছে তা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী ও দেশপ্রেমিক আনসার ও পুলিশের কাছে বরাদ্দ এর প্রস্তাব দেন।