নতুন পদ্ধতিতে জনগনের স্বর্বভৌমত্ব স্বীকৃত
পৃথিবীর যে সকল দেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে যে সকল দেশের সহিত বাংলাদেশের নতুন ব্যবস্থার হুবহু মিল খুজে পাওয়া মুশকিল। এই পদ্ধতিতে জনগণের সার্বভৌমত্বকে সর্বতাে ভাবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তার প্রজ্ঞা অভিজ্ঞ, দুরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা হতে এই সম্পূর্ণ নতুন ব্যবস্থা চালু করেছেন। বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অন্যতম সম্পাদক জনাব জিল্লুর রহমান গতকাল বাকশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জেলা সম্পাদকের প্রশিক্ষণ কোর্সে বর্তমান ব্যবস্থায় ঐতিহাসিক পটভূমিতে রাজনৈতিক তাৎপর্য সম্পর্কিত ভাষণে উপরােক্ত বক্তৃতা রেখেছেন। জনাব জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান পদ্ধতির তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী, ইহা কোন কিছুর অন্ধ অনুকরণ নহে। বঙ্গবন্ধু তার সারা জীবনের মৌলিক রাজনৈতিক দর্শন জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ কে প্রাধান্য দিয়ে প্রবর্তিত এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে পুনরায় প্রমাণ করেছেন যে, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মানুষ এক ও অভিন্ন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের রাজনীতি অর্থনীতি ও জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে স্বার্থান্বেষী অসাধু গণধিকৃত ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজের একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন যে, ৭২ সালের ১লা জানুয়ারী হতে গত সাড়ে তিন বৎসরে দেশে সাড়ে ৪ হাজার রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী গুপ্ত ঘাতকের হাতে নিহত হয়েছেন। দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে শতকরা চারশত ভাগ। দেশে কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি দুর্ভিক্ষে সাড়ে ২৭ হাজার জন প্রাণ হারিয়েছে। দেশের সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়েছে শতকরা ১০ জনের হাতে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রশিক্ষণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জনাব আবদুর রাজ্জাক। আলােচনায় অংশ গ্রহণ করেন প্রতি মন্ত্রী ও জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সমদস্য জনাব আবদুল মােমিন তালুকদার, খােন্দকার মাে: ইলিয়াস এবং জনাব মাে: ফরহাদ।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ আগস্ট ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত