পল্লীর দরিদ্রদের জন্য খাদ্য বন্টন নীতি তৈরি হচ্ছে- মােমন
খাদ্য ত্রান ও সিভিল সাপ্লাই মন্ত্রী জনাব আব্দুল মােমেন বলেছেন, গ্রামের অভাবী ও গরীব জনসাধারণের মধ্যে দ্য বন্টনের একটি নীতি নির্ধারনের জন্যে সরকার কাজ করছেন। তিনি বলেন, বন্টন নীতি এমনভাবে নির্ধারন করা হবে যাতে দেশের পল্লী অঞ্চলের গরীব ও অভাবী লােকজনের কাছে খাদ্য গিয়ে পৌঁছে। বাসস’র এ খবরে বলা হয়, গতকাল সকারে গণভবনে প্রশিক্ষন গ্রহনরত গবর্নরদের ভাষণ দানকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান বন্টন নীতির সংশােধন করতে হবে এবং যে জনগণের স্বার্থের অনুকুল করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সরকার এই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। এখন সরকারের এই বন্টন নীতিকে সর্বতােভাবে সফল করে তােলার জন্যে তিনি দেশের ৬১ টি জেরার নব নিযুক্ত গবর্নর ও জনগনের প্রতি পূর্ণ সহযােগিতার আহ্বান জানান। মন্ত্রী একটি বাস্তব খাদ্য সংগ্রহ নীতির উপর গুরুত্ব আরােপ করেন। এবং বলেন কার্যকর বন্টন ব্যবস্থার জন্যে এটি একান্ত ভাবে প্রয়ােজন। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীন সংগ্রহের ওপর সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরােপ করেছেন। অভ্যান্তরীন নীতিকে সফল করে তােলার জন্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, গত বছরের সংগ্রহ নীতি ছিল পরীক্ষামূলক। গত বছরের অটভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে খাদ্য সংগ্রহ নীতিকে পুরােপুরি সফল করে তােলার কাজে সাহায্য করবে। জনাব আব্দুল মােমেন বলেন, বর্তমান দেশের কতিপয় শহর এলাকায় রেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তার সুবিধা যাতে অধিক সংখ্যক লােক পেতে পারে সেজন্য ধীরে ধীরে রেশন ব্যবস্থার সুবিধে সম্প্রসারিত করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মােট জনসংখ্যার ১৭ ভাগ রেশন পাচ্ছে। রেশন ব্যবস্থার সুযােগ সুবিধে নির্ভর করবে অভ্যান্তরীন খাদ্ৰ সংগ্রহের ওপর।
সূত্র: দৈনিক বাংলা, ৬ আগস্ট ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত