You dont have javascript enabled! Please enable it!

১০ কোটি টাকা উৎপাদন ঋণ

সরকার দেশের ১৬টি চিনি কলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় আখের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আখ চাষীদের মধ্যে ১০ কোটি টাকা উৎপাদন ঋণ প্রদানের কথা ঘােষণা করেছেন। এই ঋণ উন্নতমানের বীজ, সার, কীটনাশক রাসায়নিক দ্রব্য, বীজ পরিশােধক, জমি তৈরি এবং আখ চাষ পরবর্তীকালীন রায় বহনের জন্য মিল পার্শ্ববর্তী এলাকার আখ চাষীদের মধ্যে বিভিন্ন খাতে প্রদান করা হবে। বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে এই ঋণ আখ চাষীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এই ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আখচাষীদের প্রয়ােজনীয় সকল উপকরণের ব্যবস্থা করা হলে চলতি প্রথম যােজনাকালে আখের উৎপাদন একর প্রতি শতকরা ২৫ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ প্রতি একরে আখের উৎপাদনে ৪শত থেকে ৫শত মণে দাঁড়াবে। বর্তমানে একর প্রতি আখের উৎপাদন পরিমাণ ৩শ থেকে ৪শ মণের মত। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ চিনিকল সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে সংস্থার আওতাধীন ১৬টি চিনি কলের মােট ১ লাখ ৬৯ হাজার টন উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এযাবতকালে ভাল মন্দ কোন বছরই পূর্ণ উৎপাদন অর্জন করা দূরে থাক, এর ধারে কাছেও পৌছানাে সম্ভব হয়নি। এর কারণ পর্যাপ্ত আখ উৎপাদনে ব্যর্থতা এবং সরবরাহের অপ্রতুলতা।
আখ চাষ সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ হওয়াতে চাষীদের কিছু অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে মধ্যবর্তী ফসল চাষে উৎসাহিত করার জন্যও এই ঋণ প্রদান করা হবে। তিনি কল সংস্থার আওতাধীন চিনি কলগুলাের মাধ্যমে আখচাষীগণ এই ঋণ পাবেন। আখ চাষী কো অপারেটিভ বহির্ভূত চাষীদের মধ্যে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে ঋণ দেয়া হবে। অনুমােদিত আখ বীজ চাষীদের শতকরা একশ ভাগ সার ও উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করা হবে। বাণিজ্যিক নতুন ফসল: যে চাষীর এ ধরনের বীজ নেই তাদের বীজ সরবরাহ করা হবে এবং সকলের প্রয়ােজনের শতকরা ৫০ ভাগ সার দেয়া হবে।
বীজ শােধনের জন্য শতকরা ১শ ভাগ চাষী রাসায়নিক দ্রব্য এবং এছাড়া শতকরা ৫০ ভাগ আখচাষীকে পরিশােধনের জন্য রাসায়নিক সরবরাহ করা হবে। বিভিন্নভাবে শতকরা ১শ ভাগ চাষীকে কীটনাশক ঔষধ সরবরাহ করা হবে। মধ্যবর্তী ফসলের পরিচর্যার জন্য প্রত্যেক চাষীকে একর প্রতি একশ টাকা ঋণ দেয়া হবে।

সূত্র: দৈনিক বাংলা, ২৭ জুলাই ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!