You dont have javascript enabled! Please enable it! 1975.06.19 | পাটের চাহিদা বৃদ্ধি | দৈনিক ইত্তেফাক - সংগ্রামের নোটবুক

পাটের চাহিদা বৃদ্ধি

তৈলের উচ্চ মূল্য এবং শিল্পায়িত দেশসমূহের পরিবেশ দূীষত হওয়ার অসুবিধাদির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পাটের ভবিষ্যৎ উজ্জলতর হইয়াছে এবং কৃত্রিম তন্তুর নিকট খােয়া যাওয়া বাজার পুনরায় ফিরিয়া পাইয়াছে।
গতকাল (বুধবার) এনা পরিবেশিত খবরে ওয়াকিফহাল মহলের বরাত দিয়া বলা হয় যে, সম্প্রতি টাকার মূল্য নূতনভাবে নির্ধারণের ফলে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের রফতানী বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হইয়াছে। টাকার মূল্য পুন: নির্ধারণের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত দ্রব্যের মূল্য হ্রাস পাইয়াছে।
উক্ত মহল বলেন যে, তৈলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃত্রিম তন্তুর মূল্যও বৃদ্ধি পাইতেছে। ফলে প্রতিযােগিতায় কত্রিম তন্তু বাজার হারাইতেছে। তদুপরি কৃত্রিম তন্তুর জিনিসপত্র ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ার প্রতিও বর্তমানে দৃষ্টি আকৃষ্ট হইতেছে। কৃত্রিম তন্তুর মােড়কে খাদ্যদ্রব্য রাখার বিষয়টি সম্পর্কে বিশেষভাবে চিন্তা ভাবনা করা হইতেছে।
উক্ত মহল আরও একটি অসুবিধার কথা উল্লেখ করিতেছেন কৃত্রিম তন্তুর ম্যাট্রেস ও কার্পেটে স্থির বিদ্যুৎপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। অপর দিকে পাটের থলে বা অন্যান্য পাটের দ্রব্যে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না এবং পরিবেশও দূষিত হয় না।
এইসব বাস্তব অসুবিধার কারণে পাশ্চাত্যে পুনরায় পাটের কদর বাড়িতেছে। তাই পাটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মহল খুবই আশাবাদী।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৯ জুন ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত