You dont have javascript enabled! Please enable it!

ইটালীর নিকট ত্রিপল ও চটের বস্তা বিক্রয়

ইটালীর নিকট বাংলাদেশ ৩ লক্ষ ৭০ হাজার গজ ত্রিপল এবং ১ লক্ষ খানা চটের বস্তা বিক্রয় করিয়াছে।
‘এনা’ ও ‘বাসস জানান, গত সপ্তাহে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের ইটালী সফরকালে এই বিক্রয় ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়।
প্রতিনিধি দলের নেতা বৈদেশিক বাণিজ্য সচিব জনাব মােসলেউদ্দিন আহমদ গতকাল (বুধবার) ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিয়া জানান যে, ইটালীতে আরও পাট ও পাটজাত দ্রব্য বিক্রয়ের ব্যাপারে আলাপ-আলােচনা চলিতেছে। তিনি আরও জানান যে ইটালীর ব্যবসায়ীগণ ১ কোটি ১৫ লক্ষ ডলার মূল্যের চামড়া ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়াছেন। ইহা ছাড়া তাঁহারা বাংলাদেশ হইতে নিউজপ্রিন্ট, হস্তশিল্প ও অন্যান্য পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রদর্শন করিয়াছেন। তাহারা বাংলাদেশে ট্যানারী, জুতার কারখানা ও ফল প্রক্রিয়াজাত করণ কারখানা স্থাপনে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনারও আভাষ দিয়াছেন।
জনাব আহমদ বলেন যে, টাকার মূল্য পুননির্ধারণের ফলে কাঁচা পাটের দর টন প্রতি ২২ স্টার্লিং হ্রাস পাওয়ার পাট ও পাটজাত দ্রব্য দ্রুত বাজারজাত করণের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হইয়াছে। তিনি আরও জানান যে, চলতি বৎসরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত উৎপাদনক্ষম সমস্ত কার্পেট ব্যাকিং বিক্রয়ের ব্যবস্থা সম্পন্ন হইয়াছে।
মূল্যের পণ্য রফতানীর লক্ষ্যমাত্রা মােটামুটি অর্জিত হইবে— যদিও এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানাে সম্ভব হইবে না। গত মে মাস ও চলতিমাসে বিপুল পরিমাণ পাট ও পাটজাত দ্রব্য বিদেশে প্রেরণের উপর ভিত্তি করিয়া তিনি এ ব্যাপারে তাহার ধারণা ব্যক্ত করেন।
উল্লিখিত সময়ে শুধু পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানী হইতে আর হইয়াছে ২ শত ১০ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। চামড়া হইতে আর হইয়াছে ১৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। চা হইতে ১৬ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা এবং নিউজপ্রিন্ট ও কাগজ হইতে ৪ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। মাছ, চিংড়ি এবং ব্যাঙের পা হইতেও এই সময়ে বেশ আয় হইয়াছে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৯ জুন ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!