ধান বীজ উৎপাদন প্রতিযােগিতায় বাংলাদেশ প্রথম
বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত এক প্রকার ধান গত বৎসর ৩৬টি নূতন ধানবীজের মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিযােগিতায় প্রথম স্থান লাভ করিয়াছে।
১৯৭৪ সালে শুল্ক ও বর্ষা মওসুমে পরিচালিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ধান উৎপাদন গবেষণা প্রতিযােগিতায় বাংলাদেশে উদ্ভাবিত এই ধান যাহা “বিপ্লব” বা বিআর ৩ নামে পরিচিত—সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষম ও সবচেয়ে উপযােগী হিসাবে বিবেচিত হয় বলিয়া ইউসিস এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়াছে।
ফিলিপাইনের লসবানসে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্র (ইরি)-র প্রকাশিত প্রাথমিক রিপাের্টে এই গবেষণার ফল প্রকাশ পায়। পরীক্ষামূলক এই গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব এই কেন্দ্রের উপরই ন্যস্ত ছিল।
চারটি মহাদেশের ১৩টি দেশ খােদ ইরি প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করে। ৬টি দেশের ১৪টি স্থানে নূতন জাতের এইসব ধানবীজ পরীক্ষা করিয়া দেখা হয়।
পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রেরিত এই ধান বীজ প্রতি হেক্টরে গড়পড়তা ৩৯৯ মেট্রিক টন উৎপন্ন হইয়াছে।
গবেষণার ফল হইতে এই আভাষই পাওয়া যায় যে, পরীক্ষিত ধানবীজগুলির মধ্যে বিপ্লবের উপযােগিতাই ব্যাপক এবং ইহাই সর্বাধিক নির্ভরযােগ্য। এই ধানের শীষ যেমন একই আকারের, ধান গাছের উচ্চতাও তেমনি সমতাপূর্ণ এবং এই ধানপাকেও একই সময়। ইহাছাড়াও এই ধান ব্যাপক রােগ-প্রতিরােধক ক্ষমতাসম্পন্ন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২০ জুন ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত