You dont have javascript enabled! Please enable it!

আই এম এফ-এর বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রীর-প্রত্যাবর্তন জ্বালানি সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ৫ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার ঋণ পাইবে

চলতি মাসে জ্বালানি আমনাদী ব্যয় মিটানাের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল হইতে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার ঋণ লাভ করিবে।
এনা’ জানান, প্যারিসে আই এম এফ-এর বৈঠকে যােগদানের পর গতকাল (রবিবার) ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিয়া অর্থমন্ত্রী জনাব এ. আর. মল্লিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের নিকট এই তথ্য প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তৈল সংগ্রহে সাহায্য করার জন্য তৈল রফতানীকারক দেশগুলি কর্তৃক আইএমএফকে প্রদত্ত তৈল সগ্রহ তহবিল হইতে এই ঋণ প্রদান করা হইবে। তিনি বলেন যে, তৈল রফতানীকারক দেশগুলি এই তহবিলের জন্য ১শত কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়াছে এবং আশা প্রকাশ করেন যে, ৫ শত কোটি ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও শীঘ্রই অর্জিত হইবে। প্রথমে তহবিলটি যদিও ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ এই দুই বৎসররের জন্য সৃষ্টি হইয়াছিল, উন্নয়নশীল দেশগুলি এই তহবিল ’৭৬ সালেও চালু রাখার দাবী জানাইয়াছে।
‘বাসস জানান, অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ক্রমাগত হারে সম্পদ। প্রেরণের পথে অগ্রগতিকে বৈঠক ‘আশাব্যঞ্জক’ করিয়া তুলিয়াছে।’
তিনি বলেন যে, আই এম এফ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উন্নয়ন কমিটি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে ১ শত কোটি ডলারের তৃতীয় গবাক্ষ সৃষ্টির প্রশ্নে মতৈক্যে পৌঁছিয়াছে। তিনি বলেন যে, এক বৎসরের জন্য সৃষ্টি হইলেও সাফল্যজনক প্রমাণিত হইলে উক্ত স্কীমটি অব্যাহত রাখা যাইতে পারে।
অর্থমন্ত্রী বলেন যে, বিভিন্ন হারের বাজার দর এবং তৃতীয় গবাক্ষ হইতে ঋণ গ্রহীতাদের সুদের হারের তারতম্য দূর করার উদ্দেশ্যে উন্নত দেশগুলি হইতে মঞ্জুরীর অর্থদ্বারা একটি সুদ ভর্তুকী তহবিল গঠনের প্রশ্নেও মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। অর্থমন্ত্রী ইহাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলিয়া বর্ণনা করেন।
জনাব এ. আর. মল্লিক বলেন যে, বাংলাদেশ গত বৎসর আই এম এফ এর তেল সংগ্রহ। তহবিল হইতে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার লাভ করিয়াছে, এ বৎসরও লাভ করিবে। তৈল রফতানীকারক দেশগুলি প্রস্তাবিত ৫ শত কোটি তহবিলের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪ শত কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়াছে। তিনি বলেন যে, বিদেশে রফতানীযােগ্য পণ্যমূল্য হাস পাইলে উহা সামলাইয়া উঠিতে উন্নয়নকামী দেশগুলিকে সাহায্যের সুবিধার্থ একটি বাফার ষ্টক সৃষ্টির বিষয়ক ও বৈঠকে আলােচিত হয়।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৬ জুন ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!