চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়
নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলাসহ উপকূলীয় দ্বীপ কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার উপর দিয়া ৫০ হইতে ৬০ মাইল বেগে ঝড় প্রবাহিত হয়। ঝড়ে হাতিয়া ঘাটে ১০৮টি লবণের নৌকা নিমজ্জিত হওয়ার ফলে লক্ষাধিক মণ লবণ নষ্ট হয়। কোনাে প্রাণহানির খবর পাওয়া যায় নাই।
ঝড়ে চট্টগ্রাম শহরের বহু সংখ্যক কাঁচা বাড়ি, গাছ-পালা এবং বস্তীর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। শহরের কোনাে কোনাে এলাকায় টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে টেলিযােগাযােগে বিঘ্ন ঘটে এবং অন্ধকার নামিয়া আসে। সন্ধ্যার পর হইতে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তবে কোনাে কোনাে এলাকা গভীর রাত্রি পর্যন্তও অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে।
কুতুবদিয়া দ্বীপে মধ্যাহ্নের দিকে জলােচ্ছ্বাস দেখা যায়। অপরাহ্নের দিকে পানি নামিতে থাকে। ১৮ মাইল দীর্ঘ উপকূলীয় বাঁধের কোনাে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে উত্তোলিত ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামাইয়া ফেলা হয়।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, উপকূলীয় দ্বীপসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়া ঝড়াে হাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রহিয়াছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৮ জুন ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত