কোটি টাকার কাপড়ের মালিক কারা
ভূয়া প্রমাণ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাপড় চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল আরও ২ জন বন্দর-নিরাপত্তা কর্মচারী সহ এগারাে জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে আরাে দু’জন বন্দর নিরাপত্তা বিভাগের কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। যে ১৮ কেস কাপড় চুরি হয়েছিল পুলিশ গতকাল খাতুনগঞ্জ এলাকা থেকে তার দুটি কেস উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃত বন্দর নিরাপত্তা কর্মচারী দুজন হচ্ছেন: সহকারী নিরাপত্তা ইন্সপেক্টর শফিকুর রহমান ও জেটি এজেন্ট তারিকুল ইসলাম। অপর ন’জন বাইরের লােক। তাদের একজন দিন ইসলাম ক্লিয়ারিং এজেন্ট রােকেয়া ট্রেডার্স-এর জেটি সরকার। কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর নিরাপত্তা বিভাগ ও বন্দর পুলিশ যৌথভাবে বিষয়টির তদন্ত করছে। তারা মনে করছেন, ‘জানে নবারত’ জাহাজ যে ৮টি কনসাইনমেন্ট ১৬৬টি কেস কাপড় এসেছে তা চোরাই এবং এর মূল্য কোটি টাকার উপর। কারণ কনসাইনেন যে নাম থাকার কথা তা নেই। পক্ষান্তরে রয়েছে ভুয়া নাম যার কোনাে অস্তিত্বই পাওয়া যাচ্ছে না। কাপড়ের কেসে জানজিভার ট্রেডার্স, চট্টগ্রাম, সুইটি, চট্টগ্রাম, সিটি টাউন চট্টগ্রাম প্রভৃতি ভুয়া নাম রয়েছে।
অরিজিন্যাল বিল অব লােডিং পরীক্ষা করে প্রেরকের যে নাম ও ঠিকানা পাওয়া গেছে তাহল ক্রিপাটসন ১৫, আরব স্ট্রীট, সিঙ্গাপুর।
সূত্র: বাংলার বাণী, ২৫ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত