৪৪ মডেলের বাস ট্রাক অচল ঘােষণা
২৫টি রুটে ২ হাজার বাস-ট্রাক বন্ধ হয়ে গেছে
সরকারীভাবে ১৯৪৪ মডেলের বাস-ট্রাক অচল ঘােষণা করার সিলেট জেলার পঁচিশটি বাস রুটের প্রায় ৪ হাজার বাস-ট্রাকের ২ সহস্রাধিক ইতােমধ্যেই অচল হয়ে পড়েছে। ফলে সিলেট জেলার যােগাযােগ ও মাল পরিবহণ ক্ষেত্রে মারাত্মক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে যে, সিলেটের রিজিওন্যাল ট্রান্সপাের্ট অথরিটি যে সমস্ত বাস-ট্রাকের নতুন পারমিট রিনিউ করছেন তাতে ৪৪ মডেলের গাড়ী চালু করার পারমিট দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে মালিকপক্ষ থেকে ইতােমধ্যেই বহুসংখ্যক গাড়ী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলতি সালে আরাে প্রায় ২শ’ বাস-ট্রাকে অচল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাস-ট্রাকের মালিকরা অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েছেন।
অপর এক খবরে জানা গেছে, সরকার কর্তৃক ৪৪ মডেলের বাস-ট্রাক অচল ঘােষণা করায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস চলাচলে দারুন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এমন কি এই সড়কে ইতােমধ্যেই বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে সিলেট-সুনামগঞ্জ বাস এসােসিয়েশনে মােট গাড়ীর সংখ্যা ৭৬টি। তার মধ্যে প্রায় ৫০টিই ১৯৪৪ মডেলের। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের এক চতুর্থাংশেরও অধিক রাস্তা কাঁচা থাকায় কোনাে মালিকই এই সড়কে নতুন গাড়ী চালাতে চান না। ফলে ৪৪ মডেলের গাড়ীর প্রভাব এই রাস্তার এখনও পরিলক্ষিত হয়।
এদিকে সরকার নাকি ৪৪ মডেলের গাড়ীর মালিকদের নতুন গাড়ী চালাতে চান না। ফলে ৪৪ মডেলের গাড়ীর প্রভাব এই রাস্তায় এখনও পরিলক্ষিত হয়।
এদিকে সরকার নাকি ৪৪ মডেলের গাড়ীর মালিকদের নতুন গাড়ী খরিদ করে চালানাের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ থাকায় মালিকরা নতুন গাড়ী ক্রয় করার ভরসা পাচ্ছেন না। গাড়ীর মালিকদের অভিমত: সিলেট-সুনামগঞ্জ রাস্তা সম্পূর্ণ পাকা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যদি সরকারীভাবে ৪৪ মডেলের গাড়ী এই সড়কে চলতে দেওয়া না হয় তাহলে গাড়ীর অভাবে এই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ২৬ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত