দিনাজপুরে খাদ্যমন্ত্রী
মজুদদারদের বিরুদ্ধে তৎপর থাকার আহ্বান
খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী জনাব আবদুল মমিন আজ এখানে বলেন যে, ইরি ও বােরাে ধান ওঠার সাথে সাথে সারাদেশে খাদ্য শস্যের সরবরাহ উল্লেখজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাজারে ধান চালের মূল্য এখন কমতির দিকে। খবর বাসসর।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যেসব খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সরবরাহ করায়ও খাদ্যশস্যের মূল্য কমার জন্যে কিছুটা সাহায্য করেছে। খাদ্যমন্ত্রী আজ এখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাকশাল নেতা ও সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করছিলেন। শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রীও সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার উক্ত জেলার সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতিও আলােচনা করা হয়। স্থানীয় মজুদদার ও অসৎ ব্যবসায়ীরা যাতে খাদ্য শস্যের মজুদ গড়ে তুলতে না পারে মন্ত্রী সে জন্যে সরকারী কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, বিশেষ জাহাজ ও পরিবহন ব্যবস্থাদি নেওয়ার বিদেশ থেকে আনা চাল গমের মজুদও বেড়েছে। খাদ্যের বিনিময়ে কাজ কর্মসূচীর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন- আগামী বছর সারাদেশে এই কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে এবং তা ব্যাপকতরভাবে কার্যকরী করার জন্যে মন্ত্রী কর্মসূচী প্রণয়নের জন্যে স্থানীয় নেতৃত্বদের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে মন্ত্রী শ্রমমন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে সাথে নিয়ে পুনর্ভবা বাঁধ প্রকল্প পরিদর্শন করেন ৪৩ মাইল দৈর্ঘ্য ও প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০ হাজার একর জমিতে চাষ করা যাবে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ১৮ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত