৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে
রহমত খালী রেগুলেটরের কাজ এ মাসেই শেষ হবে
তিন কোটি আটনব্বই লাখ টাকা ব্যয়ে নােয়াখালী জেলার রহমত আলী খালের উপর নির্মাণাধীন রেগুলেটর-এর কাজ বর্তমানে প্রায় শেষ হয়ে আসছে। আশা করা যাচ্ছে চলতি মাসের শেষের দিকে এ রেগুলেটরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
সম্প্রতি ফেনী ও মাইজদীর একদল সাংবাদিক জেলার ব্যাপক অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থার সুবিধার জন্য নির্মিত রেগুলেটারটি পরিদর্শন করেন। পানি উন্নয়ন সংস্থার দঃ-পূর্বাঞ্চলীয় শাখার প্রধান কৌশলী জনাব হাসান আলী সমগ্র পরিকল্পনাটি সাংবাদিকদের কাছে বিশ্লেষণ করেন এবং রেগুলেটারটির বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদেরকে দেখান। ১৯৫৭ সালে সর্বপ্রথম এ রেগুলেটরটির কাজ আরম্ভ করা হয় এবং বর্তমানে বেশ কিছুসংখ্যক প্রকৌশলীসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক প্রতিদিন এখানে কাজ করছে। সম্পূর্ণরূপে বাঙ্গালী প্রকৌশলীদের দ্বারা নির্মিত এ রেগুলেটরটি চালু হলে বেগমগঞ্জ, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ এ চারটি থানায় পানি সেচের কাজ সম্ভব হবে। যার ফলে এ বিস্তীর্ণ এলাকার দুইলাখ তেতাল্লিশ হাজার একর জমিতে পরিকল্পিত উপায়ে ইরি ও বােরা চাষ সম্ভব হবে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ১৮ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত