You dont have javascript enabled! Please enable it!

নলকূপ ও পাম্পের বিদ্যুতায়ন কর্মসূচী

আড়াই হাজারেরও বেশী লাে-লিফট পাম্প ও গভীর নলকূপ বিদ্যুাতয়নের এক ব্যাপক কর্মসূচী জুলাই মাসে শুরু হবে। এজন্যে ২০ লাখ ডলারের বৈদেশিক মুদ্রাসহ ব্যয় হবে ৩ কোটি টাকা। সহজ শর্তে এই বৈদেশিক মুদ্রা ঋণ দেবে কুয়েত। ঋণের ব্যাপার চূড়ান্ত হয়েছে, শীগগিরই চুক্তি হবার সম্ভাবনা। খবর বাসস’র।
সরকারী সূত্র বলেছে, কর্মসূচীটি বাস্তবায়নের প্রয়ােজনীয় প্রস্তুতি চলছে। বাস্তবায়নে সময় লাগবে ৩ বছর। মােট যত সেচ ইউনিট বিদ্যুতায়ন করা হবে তন্মধ্যে ২১৪৪টি লাে-লিফট পাম্প ও ৩৯৬টি গভীর নলকূপ। এর ফলে ৫ হাজার গ্রাম বিদ্যুত পাবে এবং হাট-বাজার ও ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিটে বিদ্যুৎ সম্প্রসারিত হবে।
সূত্র আরাে বলেছে, ১৮টি মহকুমা ও জেলা সদর দপ্তরে আলাদা জেনারেটিং ইউনিট রয়েছে। এগুলােকে গ্রিভেক্স সাথে সংযুক্ত করতে কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে প্রতি বছর ৬ থেকে ৮ কোটি টাকার জ্বালানী ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানীর খরচা বেঁচে যাবে।
সেচ প্রকল্পগুলােকে যতদূর সম্ভব বিদ্যুতায়ন করার মাধ্যমে প্রতি একরে ফলন বৃদ্ধির জন্যে সরকার কৃষি পদ্ধতি আধুনিকীকরণের নীতি গ্রহণ করেছেন বলে সূত্রে জানিয়েছেন। এতে করে সেচ খরচা হ্রাস পাবে। বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা। গত ২ বছর কঠোর পরিশ্রমের পর সরকার পল্লী এলাকা বিদ্যুতায়নের এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ বছরের শেষ দিকে আরাে ৬০টি থানা বিদ্যুতায়ন হলে মােট ১৯৩টি থানায় বিদ্যুৎ পৌছবে। ৬শ’টি পাওয়ার পাম্প বিদ্যুতিকীকরণ হবে। এ ছাড়া ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিবছর ১ হাজার মাইল ফিডার লাইন বসানাের কাজও শেষ হয়ে এসেছে।
পাঁচশালা পরিকল্পনা (শেষ হবে ১৯৭৮ সালের জুনে) ফলে ১০ হাজার ৪শ’টি পাওয়ার পাম্প ও নলকূপ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য স্থির হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০১ কোটি টাকা। এ সময় সারা দেশে বিদ্যুৎ উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪২৩ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে এ বছর বরাদ্দ হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা।
সূত্র বলেছেন, কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের জন্য সরকার কম মূল্য আদায় করছেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষকদের উৎসাহিত করা।

সূত্র: বাংলার বাণী, ১২ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!