You dont have javascript enabled! Please enable it!

ইরি স্কীমগুলােতে পানি সেচের অভাবে মুন্সীগঞ্জে সবুজ বিপ্লব ব্যাহত হচ্ছে

প্রয়ােজনীয় পাওয়ার পাশের অভাব ও টি. আই. পি স্কীমগুলাের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং স্কীম বহির্ভূত ইরি ক্ষেতে পানি সরবরাহে ব্যবস্থাপনার অভাব ও স্কীম ম্যানেজারদের দুর্নীতির জন্য মুন্সীগঞ্জ মহাকুমায় সবুজ বিপ্লব ব্যর্থ হতে চলেছে বলে অভিযােগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, বর্তমান ইরি মৌসুমে সমগ্র মহকুমার জন্য মােট ১২০০টি পাওয়ার পাম্প প্রয়ােজন। কিন্তু কেন্দ্রীয় কৃষি সংস্থা থেকে এ বৎসর ৮৯৭টি পাওয়ার পাম্প বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত পাওয়ার পাম্পের মধ্যে আবার ১২৫টি বিকল হয়ে আছে। ফলে অনেক স্কীম বরাদ্ধকৃত পাম্প নিতে পারেনি। প্রয়ােজনীয় পাম্পের অভাবে এবার প্রায় ১১২৮০ একর জমি অনাবাদে থাকছে। বরাদ্দকৃত পাম্পের স্কীম ম্যানেজারগণ অনেক ক্ষেত্রে আবার পানির উৎসের অভাবে ক্ষেতে পানি দিতে পারছেন না। জানা গেছে, এ বৎসর সারা মহকুমার মােট ৪৭টি টি. আই. পি স্কীমের জন্যে মােট ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযােগে প্রকাশ, অধিকাংশ স্কীমের কাজ সঠিকভাবে হয়নি। কতিপয় স্কীমের কর্মকর্তাগণ নামেমাত্র খাল ও দীঘি কেটে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযােগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য যে, এ বৎসর গতবারের তুলনায় অনেক বেশী জমিতে ইরি ও বােরাে ধান চাষ করা হয়েছে। “স্বনির্ভর ঢাকা’ প্রকল্পের অধীনে মহকুমার প্রায় ২৩৭৫ একর আবাদযােগ্য পতিত জমিতে ইরিচাষ করা হয়েছে। মহকুমার বহু ইরি জমি স্কীমের আওতায় পড়েনি। এ সমস্ত স্কীম বহির্ভূত জমিতে পানি সরবরাহের জন্য সরকারী পর্যায়ে কোন ব্যবস্থা অদ্যাবধি গ্রহণ করা হয়নি। স্কীম বহির্ভূত এ সমস্ত জমির ধান বর্তমানে পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সবুজ বিপ্লব বাস্তবায়নের নিমিত্তে মহকুমার ইরি জমিতে পানি সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশু কার্যকরী ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন বলে মুন্সীগঞ্জ মহকুমার কৃষকরা আশা প্রকাশ করেছেন।

সূত্র: বাংলার বাণী, ৮ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!