বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাব প্রেরণা যােগাবে
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুক্রবারে কমনওয়েলথ শীর্ষসম্মেলনে ভাষণ
দানকালে আফ্রিকান সংগ্রামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও আফ্রিকান মুক্তিযােদ্ধার প্রশিক্ষণ দানের যে প্রস্তাব দিয়েছেন সম্মেলনে আগত আফ্রো-এশীয় নেতৃবৃন্দ তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। খবর এনা’র।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শেষে সম্মেলনের প্রতিনিধিরা হাতে তালি দেন এবং অধিবেশন শেষ হলে আফ্রিকা ও এশিয়ার প্রতিনিধিরা তাকে অভিনন্দন জানান।
সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে কেনিয়ার জনৈক প্রতিনিধি ‘এনাকে বলেন, আপনাদের প্রেসিডেন্ট আফ্রিকান মুক্তিযােদ্ধাদের ট্রেনিং ও মেডিক্যাল সুযােগের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে করে একটা বাস্তব সহায়তার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে পারে। এর ফলে অনুভূত হবে যে, “কমনওয়েলথ দেশগুলাে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিয়ােজিত লক্ষ লক্ষ আফ্রিকানদের সাহায্য করার, প্রেরণা পাবে।”
জাম্বিয়ার জনৈক প্রতিনিধি বলেন, “আমরা আপনাদের মহান নেতার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আফ্রিকান মুক্তিযােদ্ধাসের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আফ্রিকার সংগ্রামী জনতা বাঙালী ভাইদের সঙ্গেই ছিল।
ঘানার একজন কূটনতিক বলেন, “সত্যি বলছি এটি মহান প্রস্তাব। এখন মুক্তিযােদ্ধারা এই প্রস্তাবের সদ্ব্যবহার করাটা তাদেরই ব্যাপার।”
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশের মুক্তিযােদ্ধাদের বিজয়ের কথা সর্বজনবিদিত। রােডেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিযােদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্যে বাংলাদেশের সাবেক মুক্তিযােদ্ধাদের পাওয়া গেলে তা হবে বিরাট সাহায্য।
নাইজেরিয়ার প্রতিনিধি বলেন: আপনাদের প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাব চলতি শীর্ষ সম্মেলনের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবাদ।
শ্রীলংকার প্রতিনিধি বলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব বিরাট আনন্দের বিষ তিনি বলেন, আফ্রিকার মুক্তিকালি জনতার প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জানিয়ে সরকার রাষ্ট্র বাংলাদেশ আফ্রো-এশিয়া ও ব্রিটেন আমেরিকার স্থায়ী …।
সূত্র: বাংলার বাণী, ৪ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত