You dont have javascript enabled! Please enable it!

দেশে আরও ৪টি সার কারখানা

সমূহ হইতেও প্রস্তাব পাওয়া গিয়াছে বলিয়া প্রকাশ। এই সব প্রস্তাব এখন বিবেচনা করা হইতেছে। বিশ্বব্যাংক যে শর্তে ঋণ দিয়াছে, তাহাদিগকেও সেই শর্তে ঋণ দেওয়ার অনুরােধ জানান হইবে। তাহারা অনুরুপ শর্তে ঋণ দিতে রাজী না হইলে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে অনুরােধ জ্ঞাপন করা হইবে। বিশ্ব-ব্যাঙ্ক খাদ্য উৎপাদনের প্রশ্নকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেছে। কাজেই স্বাভাবিকভাবে আশা করা যায় যে, বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অপর ৪টি নয়া সার। কারখানা স্থাপনের জন্য তেল উৎপাদনকারী এবং শিল্পোন্নত দেশসমূহের সহযােগিতায় প্রয়ােজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করিবেন। প্রয়ােজনীয় সার পাওয়া গেলে দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হইবে। ফলে দেশে খাদ্যভাব থাকিবে না। বিদেশ হইতে তখন বার্ষিক আড়াই শত কোটি টাকার খাদ্যশস্য আমদানী করিতে হইবে না। এই প্রশ্ন বিবেচনা করিয়া সরকার ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু বিশ্বব্যাঙ্কের সহযােগিতায় দেশে বার্ষিক ৪০ লক্ষ টন সার উৎপাদনের প্রকল্পটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেছেন বলিয়া সংশ্লিষ্ট মহল প্রকাশ করেন।

সূত্র: দৈনিক আজাদ, ১৯ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!