দেশের বিভিন্ন চটকল হইতে এই পর্যন্ত ১৪ হাজার ভুয়া শ্রমিক ছাঁটাই
বাংলাদেশের বিভিন্ন চটকল হইতে এই পর্যন্ত ১৪ হাজার ভুয়া শ্রমিককে বাদ দেওয়া হইয়াছে বলিয়া কর্তৃপক্ষীয় সূত্র হইতে জানা গিয়াছে। মিলের এডমিনিস্ট্রেটরগণ তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে যােগসাজোশে এই সব শ্রমিকদের নাম লিস্টিভুক্ত করে। তাহারা কাজ না করিয়া মাহিনা পাইত। অনেকক্ষেত্রে তাহাদের নামে মাহিনা আদায় করিয়া পরিচালক ও তথাকথিত শ্রমিক নেতারা আত্মসাৎ করিত। ভুয়া শ্রমিকদের বাদ দেওয়ার ফলে বার্ষিক প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশী অর্থ বাচিয়া যাইবে।
বিভিন্ন কল-কারখানায় ভুয়া শ্রমিকদের দরুন উৎপাদন দারুনভাবে ব্যাহত হইতে ছিল। বহু শ্রমিক কাজ না করিয়া ঘুরাফিরা করিয়া মাহিনা নিত। ইহার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর বিরাট চাপ সৃষ্টি হইয়াছে। স্বাধীনতার পর চটকলসমূহে বহু ভুয়া শ্রমিক তালিকাভুক্ত হয়।
এই অব্যবস্থার অবসানের জন্য গত এক বছর হইতে চেষ্টা চলিতেছিল। সম্প্রতি ইহা জোরদার করা হয়।
বহু শিল্প প্রতিষ্ঠানে এখনাে বহু অতিরিক্ত শ্রমিক রহিয়াছে। তাহারা কাজ না করিয়া মাহিনা নিতেছে সরকার প্রতিটি শিল্প ইউনিটের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক রিপাের্ট ছাপাইয়া বিলি করার জন্য নির্দেশ দিয়াছিলেন। এই বিবরণে সকল তথ্যই সন্নিবেশ করিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুনগঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা বিশ্লেষণ করিয়া বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতার পর ছাত্র সমাজের উপর আজ নতুন দায়িত্ব বর্তাইয়াছে। এই দাযিত্ব পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন হইতে নতুন জীবন সৃষ্টি করিতে হইবে। সমাজকে নতুন দিকদর্শন দিতে হইবে, নতুন জীবনের যাত্রা আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় হইতে শুরু করিতে হইবে।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ১১ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত