পানি সরবরাহের অভাবে
সাতকানিয়া থানার নীচু এলাকায় ইরি প্রকল্প বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার উত্তরাঞ্চলের নীচু এলাকায় পানি সরবরাহের অভাবে বহু ইরি প্রকল্প কার্যকরী না হওয়ার আশংকা রহিয়াছে বলিয়া স্থানীয় কৃষককুলের অভিযােগে জানা গিয়াছে।
প্রকাশ, থানার উত্তরাঅঞ্চলের চালু এলাকায় অনুমােদিত ইরি প্রকল্প রহিয়াছে। এই প্রকল্পসমূহের আওতাধীন জমিগুলির হাঙ্গর খালের পানির উপর নির্ভরশীল ছিল। কালক্রমে এই খাল ভরাট হইয়া যায়। ফলে ডলু নদীর পানি দ্বারা উল্লেখিত এলাকার সেচ ব্যবস্থা এক প্রকার সুন্দরভাবে পরিচালিত হইত। এই নদীটির উপর নাকি ৫টি বাধ দেওয়া হইয়াছে। ফলে উল্লেখিত অঞ্চলের প্রায় শতকরা ৯০টি ইরি প্রকল্পের ভবিষ্যত পানি সেচের যথােপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবে অনিশ্চিত হইয়া পড়িয়াছে।
আরাে জানা গিয়াছে যে, এই অঞ্চলে বহু টাকা ব্যয়ে সরকার দুইটি বাঁধ নির্মাণ করিয়াছেন। ডলু নদীতে বাঁধ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পানি সরবরাহের পথ রুদ্ধ হওয়ায় বাধদ্বয়ের নির্মাণােদ্দেশ্য যথাযথ বাস্তবায়িত না হইবার আশঙ্কা রহিয়াছে।
আরও উল্লেখ্য যে, পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় ৩০টি পাওয়ার পাম্প প্রায় সম্পূর্ণরূপে অকেজো অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে বলিয়া জানা গিয়াছে।
বর্তমানে কৃষকগণ ইরিধান রােপণ শুরু করিয়াছে। কিছু দিনের মধ্যে ইরি মওসুম প্রায় শেষ হইয়া যাইবে। সুতরাং ইতিমধ্যে ডলু নদীর উপরের দিকের বাঁধগুলি কাটিয়া ফেলা অপরিহার্য বলিয়া কৃষকমহল মনে করিতেছেন।
স্থানীয় কৃষিজীবী তথা সর্বস্তরের জনসাধারণ জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ কাটিয়া নিাঞ্চলে পানি সরবরাহের সুবন্দোবস্ত করিবার জন্য আবেদন জানাইয়াছেন।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ১০ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত