You dont have javascript enabled! Please enable it! 1975.04.06 | ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যায় সমান হইবে | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যায় সমান হইবে

(ক) জনসসাধারণকে জনসংখ্যা সমস্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করার জন্য ব্যাপক শিক্ষা ও প্রেরণামূলক প্রচার অভিযান চালানাে এবং পরিকল্পনাই যে জীবনের সুষ্ঠপদ্ধতি এ মর্মে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা।
(খ) পরিবারের কাঠামাে হিসাবে ছােট পরিবার নীতি গ্রহণ বিশেষ করে দুই সন্তান বিশিষ্ট পরিবারকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ।
(গ) থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকলপনা কার্যক্রমের মাধ্যমে ও তার অধীনস্থ উপকেন্দ্র সমূহের মাধ্যমে পল্লী এলাকায় সমস্তি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সার্ভিসের প্রসার।
(ঘ) আন্ত: মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংগঠনের সহযােগিতায় জনসংখ্যা নিরােধ কার্যক্রমকে ব্যাপকতর করা।
(ঙ) পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা ছাড়াও অন্যান্য ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করা যেমন গর্ভপাতকে আইনসঙ্গতকরণ, দুটি শিশুর বেশি হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারী রেশ সীমিতকরণ ইত্যাদি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি রােধকল্পে ও পরিবার পরিকল্পনাকে সফল করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচী নামে একটি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজে ৭টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নিয়ে একটা জাতীয় সমন্বয় কমিটিও গঠন করা
হয়েছে।
বিদেশী বহু বন্ধু রাষ্ট্রসমূহও আমাদের দেশের ভয়াবহ জনসংখ্যা সমাধানের জন্যে আর্থিক ও বৈষয়িক সাহায্য দান করে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, সুইডেন, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা যেমন বিশ্বব্যাঙ্ক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Who) জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরী শিশু তহবিল, ইউনিসেফ (Unicef) আই, ডি, এ ও ইউ, এন, এফ, পি এ (Unfpa) ইত্যাদি আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযােগিতা করে যাচ্ছে।
আশা করা যায় যে, জনসাধারণ পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তােলার গুরুত্ব সবিশেষ অনুধাবন করবেন এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ সঠিক ভূমিকা পালন করবেন। জনগণের সক্রিয় সহযােগিতা পেলে এ ব্যাপারে সরকারী প্রচেষ্টা সহজেই ফলপ্রসূ হবে ও আমাদের দ্বিতীয় বিপ্লব সফল হবে এবং এভাবে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সােনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবাে।

সূত্র: দৈনিক আজাদ, ৬ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত