হাতিয়ায় ত্রাণমন্ত্রীর নির্মীয়মান বাঁধ পরিদর্শন
৩শত বর্গমাইল জমি উদ্ধার সম্ভব হইবে
খাদ্য, ব্রণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী জনাব আবদুল মমিন নির্মীয়মান জাহাজমারা চর ইউনুস ক্রস বাঁধের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ক্রস বাঁধ তৈরি করা হইতেছে। এর ফলে এখন তিরশ বর্গমাইল এবং পরে তিনশাে বর্গমাইল জমি সমুদ্রের কবল হইতে উদ্ধার করা সম্ভব হইবে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এই বাঁধের কাজ চলিতেছে। ২৩০০ ফুট দীর্ঘ এই বাধের কাজের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হইয়াছে এবং বাকী কাজ আগামী ১০ দিনের মধ্যে শেষ হইবে বলিয়া আশা করা যাইতেছে।
এখানে দৈনিক প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট মাটি কাটা এবং বাঁধ বাধার কাজে ব্যস্ত রহিয়াছে। জনাব আবদুল মমিন স্পিড বােটযােগে এই বাধের কাজ পরিদর্শন করেন। এর আগইে মন্ত্রী নােয়াখালীর হাসনের হাটে নােয়াখালী খাল পুনর্খনন উদ্বোধন করেন।
১৮৭২ সালে এই খাল খনন করা হয় এবং এই খারের নাম অনুসারেই জেলার নাম রাখা হয় নােয়াখালী খাল সময়ের আবর্তনে এবং পলিমাটি পড়িয়া এই খাল ভরাট হইয়া যায় এবং কৃষি কাজের জন্য প্রয়ােজনীয় পানির অসুবিধা দেখা দেয়।
৪ মাইল দীর্ঘ এই পুনর্খনন কাজ শেষ হইলে বেগমগঞ্জ থানার প্রায় ৮০ হাজার একর জমিতে পানি সেচের সুবিধা হইবে এবং যেসব জমিতে মাত্র একটি ফসল ফলে, সেসব জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলানাে সম্ভব হইবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর সহায়তায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের অধীনে এই খাল পুনর্খনন করা হইতেছে আগামী এক মাসের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপক প্রচেষ্টা চলিতেছে এবং দৈনিক প্রায় তিন হাজার শ্রমিক ইহাতে কাজ করিতেছে।
এই সব প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের সময় ত্রান মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষ এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ আমির খসরু।
মন্ত্রী বিকেলে ঢাকা ফিরে আসেন।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ৪ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত