You dont have javascript enabled! Please enable it!

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৬৫ হাজার গ্রামে সমবায় কর্মসূচী বাস্তবায়নের নীলনকশা প্রণয়ন

বাংলাদেশের ৬৫ হাজার গ্রামে বহুমুখী সমবায় পদ্ধতি চালু করার নীল নক্সা চূড়ান্ত করা হইয়াছে। সমবায় মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং বিমেষজ্ঞদের ৫ দিনব্যাপী সুদীর্ঘ বৈঠকের পর গতকাল মঙ্গলবার এই নীল নক্সা চূড়ান্ত করা হয়।
গত ২৬শে মার্চ ঢাকার সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই নীলনক্সা প্রস্তুত করা হয়।
এই কথা ঘােষণা করিয়া সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী মি: ফণী মজুমদার এনা’ প্রতিনিধিকে জানান, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিপাড়া হইতে প্রত্যাবর্তন করার পর তাঁহার অনুমােদনের জন্য বিলটি পেশ করা হবে।
উক্ত কর্মসূচী অনুসারে ভূমিহীন কৃষক এবং শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এবং সমবায় খামারের উৎপাদন সমবন্টন নিশ্চিত করিবে। মি: ফনি মজুমদার বলেন, এই কর্মসূচী অনুসারে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রামকে সমবায় পদ্ধতির অধীনে আনা হইবে এবং এই ভাবে ১৯৮৭ সারের মধ্যে ৬৫ হাজার গ্রামকে সমবায় ভুক্ত করা হইবে।
মি: ফনি মজুমদার সমবায়ের প্রশাসনিক কাঠামাে কি হইবে সে প্রসঙ্গে কিছু বলেন নাই। অবশ্য তিনি একথা বলেন যে, ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে ভাষণ দেন সেই আলােকে এই প্রশাসনিক কাঠামাে তৈরী করা হইবে। বঙ্গবন্ধু তাঁহার ভাষণে বলিয়াছিলেন সমবায়ের সাথে সংযুক্ত সকলের জমির উপরই ব্যক্তি অধিকার থাকিবে। এই কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্যেই হইবে গ্রামােন্নয়ন।
এই কর্মসূচীকে তিনি বাংলাদেশের সামাজিক বিবর্তনের লক্ষ্যে একধাপ অগ্রগতি বলিয়া বর্ণনা করেন। মন্ত্রী বলেন এই ব্যবস্থা পুরাপুরি কায়েম হইলে দেশে শতাব্দীর সামন্তবাদী শােষণের অবসান হইবে এবং ভূমিহীন কৃষকরা তাহাদের শ্রমের ন্যায্য মূল লাভ করিবে। ইহাছাড়া দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাইবে ও দেশ খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনে সক্ষম হইবে।
মন্ত্রী বলেন, সমবায় পদ্ধতিতে দেশের বিপুল পরিমাণ পতিত জমি চাষে অধীনে আনা হইবে এবং কৃষি কাজে বিনিয়ােগের পরিমাণও বৃদ্ধি পাইবে। দেশের কৃষিকাজে উন্নততর পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হইবে বলিয়া মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

সূত্র: দৈনিক আজাদ, ২ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!