You dont have javascript enabled! Please enable it!

টঙ্গী-হায়দরাবাদ খাল খনন উদ্বোধনে ছেরনিয়াবাত
প্রতিটি গ্রামকে কৃষিভিত্তিক সমবায় সমিতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

প্রতিটি গ্রামকে একটি আদর্শ কৃষিভিত্তিক সমবায় সমিতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রামে সর্বশ্রেণীর মানুষের স্বার্থে এমন একটি করে সমবায় সমিতি গড়ে তুলতে হবে, যাতে এ দেশের অতুলনীয় অপর্যাপ্ত মূল্যবান সম্পদ পানি, মাটি ও মানুষ সমন্বিতভাবে কাজে লাগবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন একটি সােনার দেশ গড়ার লক্ষ্যে। [ গতকাল বিকেলে টঙ্গীর নিকটস্থ হায়দরাবাদে স্থানীয় সমাজসেবী, বিপিআই প্রধান জনাব মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ফুড ফর ওয়ার্ক প্রােগ্রামের আওতাধীন একটি খাল খননের উদ্বোধনের পর একটি জনসভায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ পানি সম্পদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন, বন, পশু ও মৎস্য বিভাগীয় মন্ত্রী জনাব আবদুর রব ছেরনিয়াবাত ভাষণে উল্লেখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
জনাব ছেরনিয়াবাত বলেন, নির্ধারিত কর্মসূচীতে যদি বাংলাদেশের ৬৫ হাজার গ্রামকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তােলা হয় তবে সারা বিশ্বে এই বাংলাদেশ একটি খাদ্য রফতানীকারক দেশ হিসেবে পরিগণিত হবেই।
জনাব ছেরনিয়াবাত সারা বাংলাদেশে উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি রংপুরের কুজিপুর গ্রামের আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের প্রােগ্রামের কর্মকর্তাসহ আশুগঞ্জ বেগমগঞ্জ প্রভৃতি অঞ্চলের উপমা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাপানের চাইতে আমাদের মাটির উর্বরাশক্তি ৩ গুণ বেশি, কিন্তু জাপান ৩৫ লাখ টন খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে যেকোনাে মূল্যেই হােক উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সেই পথেই অর্থনৈতিক মুক্তির পথ সুগম করতে হবে।
জনসভায় তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী জানান তাহের উদ্দিন ঠাকুর বলেন বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের মেহনতী মানুষ, যারা জাতির জন্য উৎপাদন করে তাদেরই কাছে টেনে নিচ্ছেন।
জনাব ঠাকুর, উল্লেখ করেন বস্তুত: আমরা আমাদের নিজেদের শক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ। আমরা যদি আমাদের নিজেদের শক্তি ও সামর্থ দেশ গড়ার কাজে যথাযথ ব্যবহার করতে পারি তবে দেশের খাদ্য সমস্যার শতকরা ৭০ ভাগই সমাধান করতে পারি।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় শ্রমিক নেতা গাজী মােজাম্মেল হক, এমপি। হায়দরাবাদ খাল সেচ প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় কেউ রিলিফ চায় না। খালটি ভালভাবে কাটা হলে টঙ্গীকে আর ঘাটতি বলা যাবে না।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব রহমত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা আবার যুদ্ধে নেমেছি এ যুদ্ধ রিলিফের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির যুদ্ধ জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপরও তিনি বক্তব্য রাখেন।
সভার সভাপতি সমাজসেবী বিপিআই প্রধান জনাব মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন, এমনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমেই বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যেতে হবে।

সূত্র: সংবাদ, ২৫ মার্চ ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!