You dont have javascript enabled! Please enable it!
“কোনটা চাও? – মুজিব? নাকি স্বাধীনতা?” – খোন্দকার মোশতাক
এদিকে খন্দকার মােশতাক বিভেদ সৃষ্টি করতে সচেষ্ট। মােশতাক আরও একটি ধুয়া তুলেছিলেন যে, স্বাধীনতা না শেখ মুজিবুর রহমান, তােমরা কোনটা চাও। ঘটনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তখন তাজউদ্দিন সাহেব ঘটনাটি জানতে পেরে পরিষ্কার বললেন, ‘আমাদের জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তি কোনটাই আলােচনার শর্ত হতে পারে না। জীবিত অবস্থায় সসম্মানে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফেরত চাই এবং আমরা যুদ্ধে জয়লাভও করতে চাই। ইনশাআল্লাহ্ আমরা এই দুটোই অর্জন করব।’ এই কথাটি তাজউদ্দিন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন এবং এই মনােবল তাঁর ছিল। এটাই তার কৌশল ছিল। তিনি যুদ্ধের প্রতি গুরুত্ব শিথিল করতে রাজি ছিলেন না এবং কোন রকম আপস-আলোচনায় তিনি যেতে চাননি। খুব শান্তভাবে তিনি একটি কাজ করলেন, এটি যে একটি হাই ড্রামা আমাদের বুঝতেও দিলেন না। খন্দকার মােশতাক যে প্ল্যানটি করেছিল যে, বিদেশের মাটিতে গিয়ে বন্ধুভাবাপন্ন দেশ অর্থাৎ ইরানে গিয়ে পক্ষ পরিবর্তন করবে, একটা আপস ফর্মুলা ঘােষণা করবে পাকিস্তানের সঙ্গে, যেভাবেই হােক এই খবর তাজউদ্দিনের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। ভারত সরকার এই বিষয়গুলাে জেনে গিয়েছিল। আমাদের ভেতরে যে সূত্রগুলাে ছিল তা থেকেও আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল। তাজউদ্দিন খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিলেন, বার্তা পাঠালেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে যে, খন্দকার মােশতাক নয়, আপনি যাবেন জাতিসংঘের অধিবেশনে। খন্দকার মােশতাক বাদ হয়ে গেল।
References:
তাজউদ্দীন আহমদ আলোকের অনন্তধারা, সিমিন হোসেন রিমি
সংগ্রামের নোটবুক
error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!