শিগগিরই চুক্তি হবে
বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পে কুয়েত ৩ কোটি ডলার দিচ্ছে
বাংলাদেশের দুটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পের জন্য কুযেত ৩ কোটি ডলার প্রদান করবে। এ ব্যাপারে দু’দেশের মধ্যে শিগগির একটি চুক্তি সই হবে।
কুযেত ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে চুক্তির খসড়া প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে এবং আগামী মাসের শেষ নাগাদ চুক্তি সই হবে।
সফররত কুয়েতী অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে ৯০ মিনিটকাল বৈঠকশেষে পরিকল্পনা কমিশনের জনৈক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেন।
যে দুটি প্রকল্পের জন্য চুক্তি সই হতে যাচ্ছে ঐ গুলাে হচ্ছে সিলেটের মনু নদী প্রকল্প ও বৈদ্যুতিকীরণ প্রকল্প পর্যায়।
মনু নদী প্রকল্প প্রায় ৫৬ হাজার একর জমিকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করবে। অপরদিকে পল্লী বুৈদ্যতিকীকরণ প্রকল্প বিভিন্ন জেলায় ৩৯৬টি গভীর নলকূপ ও ২ হাজার ১শ’ ৪৪টি লাে লিফট পাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এ সকল নলকূপও লাে লিফট পাম্প ১ লাখ ৬০ হাজার একর জমিতে পানি সেচের নিশ্চয়তা বিধান করবে।
এদুটি প্রকল্প ছাড়াও কুয়েত বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহৎ সার কারখানায় অর্থ যােগানাের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখবে। ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার ব্যয়ে চট্টগ্রামে এ কারখানাটি স্থাপিত হবে।
কুয়েতী বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের কৃষি এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অর্থ যােগানাের ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আরব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কুয়েতী তহবিলের মহাপরিচালক জনাব আবদুল লতিফ আলহামাদ কুয়েতী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করেন। প্রতিনিধিদলের অপর দু’জন সদস্য হচ্ছেন ড: জালাল নূরউদ্দিন ও জনাব ফয়সল আল খালিদ।
বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব সাঈদুজ্জামান, অন্যান্য সদস্য হচ্ছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আল হােসাইনী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন রেবার্ডের চেয়ারম্যান কাজী আজহার আলী এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব মামুন আহমদ। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ ও পানি সম্পদ মন্ত্রী জনাব আবদুর রব ছেরনিয়াবাতের সাথে তার সচিবালয়স্থ অফিসে সাক্ষাৎ করেন। খবর দিয়েছে এনা।
সূত্র: সংবাদ, ১৯ মার্চ ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত