ভূমি সংস্কার নীতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে-মুহম্মদুল্লাহ
ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী জনাব মুহম্মদুল্লাহ ভূমি সংস্কার নীতির আমুল পরিবর্তনের প্রয়ােজনীয়তার প্রতি গুরুত্ব আরােপ করেছেন।
বাসস জানায়, মন্ত্রী গত শনিবার সকালে ঢাকায় জরিপ ও বন্দোবস্ত প্রশিক্ষণ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়ােজিত প্রশংসাপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টরদের সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও ভূমি জরিপ-এর ডিরেক্টর জেনারেল জনাব খান-ই-আলম খান এবং ভূমি সংস্কার ও ভূমি জরিপ সচিব জনাব আবু তাহেরও অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
জনাব মুহম্মদুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার পর ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়কে পুনগঠিত করা হয়েছে এবং দেশে ভূমি প্রশাসনকে গণমুখী ও গঠনমূলক করে তােলার দায়িত্ব এ মন্ত্রণালয়ের উপর অর্পিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভূমির উপর অতিরিক্ত চাপ কমানাের জন্য সরকার একটি ব্যাপক ভূমি সংস্কার কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। ভূমি সংস্কারের প্রধান প্রধান লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে উৎপাদন বৃদ্ধি, ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে জমি বিতরণ এবং কৃষকদের সামাজিক মর্যাদা উন্নীতকরণ।
মন্ত্রী প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী অফিসারদের প্রতি দেশের কল্যাণে সততা ও দক্ষতার সাথে তাদের জ্ঞান কাজে লাগানাের আহ্বান জানান।
বিস্ফোরণ আমাদের একটি মারাত্মক হুমকি। সুষ্ঠু জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জকে আমাদের মােকাবেলা করতে হবে। মন্ত্রী গত শনিবার রাজশাহীতে বিভাগীয় গার্লস গাইড সমাবেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদেরকে যে কোন মূল্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রােধ করতে হবে।
ভূমি সংস্কার মন্ত্রী বলেন, ১৯০১ সালে আমাদের দেশের জনসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৮৭ লাখ। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে সাড়ে সাত লাখে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ প্রবণতা অবশ্যই রােধ করতে হবে।
জনাব মুহম্মদুল্লাহ উল্লেখ করেন যে, সমাজ থেকে যখনই অশিক্ষা, অজ্ঞানতা ও সামাজিক কুসংস্কার নির্মূল করা যাবে কেবলমাত্র তখনই গার্লস গাইড আন্দোলন সফল হবে।
মন্ত্রী আশা করেন যে, গার্লস গাইড আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে শিক্ষার আলাে পৌঁছে দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার অর্ধাংশ নারীসমাজকে দেশ গঠনে পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
সূত্র: সংবাদ, ১৭ মার্চ ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত