You dont have javascript enabled! Please enable it! 1975.03.18 | উত্তর বঙ্গ কাগজ কল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য রেশন বরাদ্দ ও বন্টনে গরমিল কেন? | সংবাদ - সংগ্রামের নোটবুক

উত্তর বঙ্গ কাগজ কল
শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য রেশন বরাদ্দ ও বন্টনে গরমিল কেন?

ঈশ্বরদী, ১৪ই মার্চ (নিজস্ব সংবাদদাতা)। খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঢাকাস্থ সংগ্রহ, বণ্টন ও রেশনিং সংক্রান্ত ডাইরেক্টর কর্তৃক পাকশীতে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ কাগজ কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের রেশনের জন্য বরাদ্দকৃত গম ইত্যাদির কোটা আজ দীর্ঘ দিন যাবৎ পাবনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস হতে সমপরিমাণে বরাদ্দ ও সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
অভিযোেগ পাওয়া গেছে যে, উক্ত ডাইরেক্টরের অফিস হতে এই মিলের জন্য যে পরিমাণ গম, চিনি ইত্যাদি বরাদ্দ করা হয় পাবনা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছ হতে সেই পরিমাণ গম চিনির বরাদ্দ ও সরবরাহ পাওয়া যায় না। ফলে পাকশী কাগজ কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ রেশনে তাদের ইউনিট প্রতি খাদ্যশস্যের পরিমাণ কম পেয়ে আসছে। এই কারণে এই দুর্মূল্যের বাজারে এই কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা দুর্ভোগ পােয়াচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে যে, ঢাকাস্থ সংগ্রহ, বন্টন ও রেশনিং সংক্রান্ত ডাইরেক্টর কর্তৃক এই মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের রেশনের জন্যে ১৯৭৪ সনের জানুয়ারি মাসে ৬৬৮ মণ ফেব্রুয়ারী ৬৭০ মন, মে ৬৬৮ মণ, জুন ৬৬৮ মন জুলাই ৭০০ মন আগস্ট ৭০০ মন, ডিসেম্বর ৬২৭ মন এবং ১৯৭৫ সনের জানুয়ারি মাসের জন্য ৬২৭ মন গম বরাদ্দ অথচ পাকশী উত্তরবঙ্গ কাগজ কারখানা এই সময়ের মধ্যে পাবনা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস হতে যে পরিমাণ গম বরাদ্দ ও সরবরাহ পেয়েছে তা নিম্নরুপ: ১৯৭৪ সনের জানুয়ারী মাসে ২৬৪ মণ, ফেব্রুয়ারী ২৬৪ মন, মার্চ ২৬৪ মন, এপ্রিল ২৬৪ মন, মে ১৩২ মন, জুন ১৩২ মন, জুলাই ২৯৬ মণ, আগস্ট ৫৪০ মণ, সেপ্টেম্বর ৪০৫ মন, অক্টোবর ২৭০ মণ, নভেম্বর ৩৪০ মণ, ডিসেম্বর ৩৪৭ মণ এবং ১৯৭৫ সনের জানুয়ারি ৪৪৩ মণ ৩০ সের ও ফেব্রুয়ারী ৪০৩ মণ গম।
এছাড়া এই কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের রেশনের জন্য গত ৩ মাসে তেলের কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
ঢাকা হতে বরাদ্দ এবং পাবনা হতে বন্টনে এই গরমিলের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।[১১০]
ঢাকায় উচচক্ষমতাসম্পন্ন আর্থনীতিক প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশের উন্নয়নে কুয়েত সাহায্য দিয়ে যাবে
সফররত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কুয়েতী আর্থনীতিক প্রতিনিধিদলের নেতা জনাব আবদুল লতিফ আল হামাদ গতকাল সােমবার এখানে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচী কার্যকরী করার জন্য তার দেশ অব্যাহত সাহায্য দিয়ে যাবে।
গতকাল ঢাকা বিমান বন্দরে পৌছে ড: হামাদ সাংবাদিকদের কাছে উপরােক্ত মন্তব্য করেন। ড: হামাদ আরব উন্নয়ন তহবিলের মহা পরিচালক।
ড: হামাদ বলেন, ঢাকার দুদিনের সংক্ষিপ্ত সফরকালে তারা বাংলাদেশের আর্থনীতিক উন্নয়নে সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প পরীক্ষা করে দেখবেন।
ইতিপূর্বে এখানে সরকারী সূত্রে জানানাে হয়েছে, উভয় পক্ষের আলােচনার সময় বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কুয়েতের কাছে সাহায্য চাইতে পারে। সূত্র জানিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে শিল্প, কৃষি, যােগাযােগ ও পর্যটন প্রকল্প।
প্রকল্প সম্পর্কে এই মুহূর্তে যদিও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি তবে আশা করা যাচ্ছে প্রতিনিধিদল উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী জনাব এম, মনসুর আলী, অর্থমন্ত্রী ড: এ, আর মল্লিক, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সম্পদ মন্ত্রী জনাব আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও পরিকল্পনা কমিশনের বিষেষজ্ঞদের সাথে পৃথক পৃথক আলােচনা করবেন। প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথেও বৈঠকে মিলিত হবেন। খবর দিয়েছে এনা।

সূত্র: সংবাদ, ১৮ মার্চ ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত