এক নজরে নয়া পাটনীতি
১৯৭৫-৭৬ সনের পাট ও পাট শিল্প নীতির প্রধান প্রধান দিকগুলাে:
০ চলতি বাজার দর অনুসারে সরকারী সংস্থাসমূহ চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি পাট ক্রয় করবে। এবং আগামীতেও চাষীদের এভাবে পাট বিক্রির সুযােগ অব্যাহত রাখা হবে। এক্ষেত্রে কোন নিম্নতম মূল্য বেধে দিয়ে ক্ষুদ্র চাষীদের সেই নূ্যনতম দরে পাট বিক্রয়ের বাধ্যবাধকতা থাকলাে না। একই সাথে চাষী যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সরকার সেজন্য সকল ব্যবস্থা নেবেন।
০ সরকার ধীরে ধীরে পাট ব্যবসায়ের সকল স্তরকে জাতীয়করণ করবে।
০ চলতি বছরের মােট উৎপাদন ৪০ লাখ বেলের স্থলে ৭৫-৭৬ সালের পাটের মােট উৎপাদন লক্ষ্য ৫০ লাখ থেকে ৬০ লাখ বেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
০ তার মধ্যে রফতানী লক্ষ্য ২৮ লাখ বেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
০ সীমিতসংখ্যক বেসরকারী ব্যবসায়ীকে এবারও ব্যবসা চালাতে দেওয়া হবে।
০ ৫ লাখ একর জমিকে ব্যাপক পাঁচাষ প্রকল্প-এর অধীনে আনা হবে।
০ পাটের জমিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ খামার ইউনিটে পরিণত করার মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১৯৭৮
সনের মধ্যে ১৩ লাখ একর জমিকে ব্যাপক “পাঁচাষ প্রকল্প”-এর অধীনে আনা হবে।
০ পাট চোরাচালান বন্ধের জন্য সীমান্ত প্রহরাকে আরাে কড়াকড়ি করা হবে।
০ পাট কেনা-বেচার ব্যাপারে দুর্নীতির অবসান এবং দুর্নীতি দমনের জন্য সরকার বিভিন্ন
কর্পোরেশনের এবং মার্কেটিং ব্যবস্থার সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস করছেন।
০ কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্যে পেতে পারে সেজন্য পাট উঠার সাথে সাথে সরকার সারাদেশে পাট ক্রয় শুরু করবেন। পারস্পরিক সুবিধাজনক শর্তে বিশ্বের বাজারে উৎকৃষ্টমানের পাট সরবরাহ অব্যাহতরাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হবে।
০ উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার পাটশিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ এখন শতকরা ২৫ ভাগ হারে লােকসান বহন করচে।
০ পাট শিল্পকে রক্ষার জন্য সরকারী ভরতুকি অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
সূত্র: সংবাদ, ১৩ মার্চ ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত