‘ওপেক’ সম্মেলনের ঘােষণা
শর্ত পালিত হলে রফতানীকারী দেশ তেল নিয়ে আলােচনায় রাজী
আলজিয়ার্স, ৭ই মার্চ (ডিপিএ)-শিল্পোন্নত দেশগুলাে তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম তেলের দামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলাের প্রতি সহযােগিতা বাড়াতে ও বিশ্ব মুদ্রা ব্যবস্থা পুনগঠনে সম্মত হলে তেল উৎপাদক দেশগুলাে তেলের দাম অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারে আলােচনায় রাজী আছে।
তেল উৎপাদক দেশগুলাের ১৩ সদস্যবিশিষ্ট সংস্থা ওপেকের ৩ দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন শেষে প্রকাশিত ১৪টি দফাবিশিষ্ট এক যুক্ত ঘােষণার এই ছিল মূল বক্তব্য।
উৎপাদক দেশগুলাে শিল্পে উন্নত বিশ্বে তাদের বিনিয়ােজিত পুঁজি এবং সম্পদের জন্যও নিশ্চয়তা দাবী করেন। | শীর্ষ সম্মেলন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে, তেল নিষেধাজ্ঞা আর আরােপ করা হবে না এবং শিল্পায়িত দেশগুলােকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হবে। তবে তারা (শিল্পায়িত দেশগুলাে) ওপেক সদস্য দেশগুলাের বিরুদ্ধে সামরিক, অর্থনীতিক বা অন্য কোন কর্ম আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে পারবে না।
অবশ্য তেল উৎপাদকরা প্রস্তাবিত স্থিতিশীলকালীন সময়ের জন্য তেলের দামের কোন আভাষ দেননি। তারা উৎপাদন এবং রপ্তানিরও কোন পরিমাণ নির্ধারণ করেনি। তারা মুদ্রাস্ফীতিজনিত বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তেলের দাম স্থিতিশীল করার বিষয় নিয়ে আলােচনায় সম্মত রয়েছে।
তেল উৎপাদক দেশগুলাে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলােকে সকল প্রকার সাহায্য দিতে প্রস্তুত রয়েছে লে ঘােষণায় উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, তারা কম খরচে কৃত্রিম সার উৎপাদন এবং প্রাপ্তিতে সহযােগিতা করবে।
সূত্র: সংবাদ, ৮ মার্চ ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত