পাট ক্রয়ে অবহেলার অভিযােগ
বগুড়া, ১৬ই ফেব্রুয়ারী-দেশের উত্তরাঞ্চলে সরকারী পাট সংস্থাগুলির বিভিন্ন পাটক্রয় কেন্দ্রে কতিপয় ক্রেতা তথা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অবহেলা এবং অসদুপায় অবলম্বনের দরুন একদিকে যেমন পাট ক্রয় ব্যাহত হইতেছে, অন্যদিকে তেমনি বহু টাকার পাট পচিয়া বিনষ্ট হইতেছে বলিয়া অভিযােগ পাওয়া যাইতেছে। এই সকল ক্রেতার কারসাজির ফলে পাটচাষীরা পাটের ন্যায্যমূল হইতে বঞ্চিত হইতেছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পাটচাষীরা সরকারী পাট ক্রয় কেন্দ্রে পাট বিক্রি করিয়া যথাসময়ে টাকা পাইতছে না।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পাক্রয় কেন্দ্রে পাট ক্রয়ের পর উহা ভিজাইয়া চালান দেওয়ার ফলে বহু টাকার পাট পচিয়া বিনষ্ট হইতেছে বলিয়া প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ।
পরিবহন সংকটের ফলে বিভিন্ন গুদামে বহু পাট পড়িয়া রহিয়াছে। পরিবহন সংকট দূর করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ না করার বিপুল পরিমাণ পাট নষ্ট হইবার উপক্রম হইয়াছে। এইদিকে অধিকাংশ গুদামে জায়গা না থাকায় পাটের মৌসুমে যথেষ্ট পরিমাণ পাট ক্রয় হয় নাই।
সম্প্রতি জে এম সি’র বগুড়া জুট পারচেজিং সেন্টারের জনৈক ক্রেতাকে ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৪৩ টাকা মূল্যের ৭ হাজার ৬ শত ৯ মন ২ সের পাট (প্রতিমণ ৬০ টাকা হিসাবে) এবং ৫৬ হাজার ৯২৭ টাকার নগদ অর্থ আত্মসাতের দায়ে চাকুরী হইতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হইয়াছে বলিয়া স্থানীয় জেলা দুর্নীতি দমন অফিসসূত্রে জানা গিয়াছে। জেলা দুর্নীতি দমন দফতরসূত্রে প্রকাশ, উক্ত ক্রেতা উল্লিখিত পাটের কোন হিসাব দিতে পারে নাই। ইহা ছাড়াও তাহার বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযােগ রহিয়াছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত