You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.26 | দ্যা বাল্টিমোর সান, ২৬ অক্টোবর ১৯৭১ যুদ্ধের সম্ভবনা - সংগ্রামের নোটবুক

দ্যা বাল্টিমোর সান, ২৬ অক্টোবর ১৯৭১
যুদ্ধের সম্ভবনা

দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের সম্ভাবনা একটি জটিলতা থেকে উদ্ভূত হয়, যেগুলির মধ্যে দুটি বর্তমানে বিশেষ ভাবে বিপজ্জনক। কেউ কেউ ভারতের একটি বর্ধিত বর্বরতা বলে মনে করেন। দৃশ্যত মনে হয় যে যুদ্ধ কিছুটা চেপে আসছে, এবং এমন একটি মুহূর্ত আসতে পারে যে পাকিস্তান তীব্র চাপ, খরা ও কার্যকরভাবে যুদ্ধ করতে খুব দুর্বল। অন্যটি হচ্ছে, পাকিস্তান প্রকৃতপক্ষে তিক্ত, হতাশাজনক এবং হতাশার মধ্যে আছে এবং পূর্ব পাকিস্তানে দমনের প্রচেষ্টায় তার সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এর জন্য তারা নিছক নিকৃষ্টতার সাথে লড়াই করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী গান্ধী ভারতীয় যুদ্ধবাজদের মত নন। তার নিজের অবস্থান দৃঢ়, কিন্তু যুক্তিযুক্ত। তার পশ্চিমা ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে সফরের প্রাক্বালে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দেশবাসীকে যে সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাদের সংযত হবার কথা বলেন- যাকে তিনি তার ভাষায় “চ্যালেঞ্জ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন – যে সঙ্কট ২৫ শে মার্চের শেষের দিকে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ববাংলায় আঘাত করার জন্য সৃষ্টি হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। প্রথম এবং সর্বাগ্রে একটি নমনীয় নিরপেক্ষ আমেরিকান মনোভাব তিনি আশা করেন যার ফলে পাকিস্তানে অব্যাহতভাবে আমেরিকান অস্ত্র চালান বন্ধ করা যাবে। তারপর পূর্ব পাকিস্তান থেকে শরনার্থিদের আগমনের কারণে ভারত যে অর্থনৈতিক ও মানবীয় বোঝার সম্মুখীন হয়েছে – যদিও এর বাইরে সেখানে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূচনা হয়েছে – সেটির ব্যাপারে ওয়াশিংটনের হাল্কা অবস্থানকে পরিবর্তন করার আশা করেন। এবং এটাও হতে পারে যে মিসেস গান্ধী আমেরকার চীনের প্রতি সহমর্মিতার ব্যাপারেও উদ্বিগ্ন, যারা পাকিস্তানের প্রধান সমর্থক।

সর্বোপরি, ভারতের অবস্থান হলো যে “চ্যালেঞ্জ” এবং সংকট, এক জিনিস থেকে সরাসরি উৎপাদিত হচ্ছে – তা হল শরণার্থী, এবং যে উদ্বাস্তুদের সমস্যা মার্চ মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মের সরাসরি ফলাফল। মার্চের পটভূমির জটিলতা ভুলে যাওয়া চলবে না, এটিই মূল কারণ; এবং তাই এটা অবিরত মনে রাখা প্রয়োজন।