কাঁচাপাট ও পাটজাত দ্রব্যের রপ্তানী উল্লেখযােগ্যভাবে বৃদ্ধি
বাংলাদেশ গত মাসে ২০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রায় ৩০ হাজার টন পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী করিয়াছে। চলতি অর্থ বৎসরের প্রথমার্ধে দেশের কাঁচাপাট রপ্তানী গত বৎসরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পাইয়াছে। গত ছয়মাসে ১২ লক্ষ গাইট পাট রপ্তানী হইয়াছে। আগামী ২ মাসে আরও আড়াই লক্ষ গাঁইট পাট রপ্তানীর সম্ভাবনা।
গত ডিসেম্বরের তুলনায় গত জানুয়ারি মাসে পাটজাত দ্রব্যের রপ্তানী উৎসাহ ব্যঞ্জকভাবে বৃদ্ধি পাইয়াছে। ডিসেম্বরে পাটজাত দ্রব্যের রপ্তানী ছিল ১৭ হাজার টন, জানুয়ারিতে দাঁড়ায় ২০ হাজার টন।
পাট শিল্প সংস্থা ও পাট সংস্থার মুখপাত্র এনা ও বাসসকে গত শনিবার জানান যে, রপ্তানী শুল্ক প্রত্যাহার, বাজার সম্প্রসারণ এবং বিশেষ করিয়া কার্পেট ব্যাকিং-এর দর হ্রাসের ফলেই পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী বৃদ্ধি পাইয়াছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র জানান যে, আফ্রিকায় বাংলাদেশের পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাইতেছে। ব্রাজিল চলতি অর্থ বৎসরে দেড়লক্ষ বেল পাট ক্রয় করিবে বলিয়া আভাষ দিয়াছে।
ভারতের নিকট পাট বিক্রয়
মুখপাত্র জানান যে, আগামী মার্চ মাস হইতে চলতি পঞ্জিকা বর্ষের মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের নিকট ৪ লক্ষ গাইট পাট বিক্রয়ের প্রস্তাব দিয়াছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত